কাজিরবাজার ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন- আপনারা আমাকে নৌকায় ভোট দিন আমি আপনাদের উন্নয়ন দিব। বিএনপি-জামায়াত জোট দানবের দল, খুনির দল তাদেরকে আপনারা ভোট দিবেন না।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রবিবার বিকালে রংপুরের পীরগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আজিজুর রহমান সরকার রাঙ্গার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তেব্যে তিনি এ আহবান জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীকে নিজের মেয়ে উল্লেখ করে নির্বাচনী জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি আমার মেয়ে শিরীন শারমিন চৌধুরীকে আপনাদের হাতে তুলে দিয়ে গেলাম। আমি পেছন থেকে তাকে সাহায্য করে যাব। জয় এবং পুতুল ইতোমধ্যে তাকে সহায়তা করে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, পীরগঞ্জের ব্যাপক উন্নয়ন এরই মধ্যে আমরা করেছি। পীরগঞ্জের আরও উন্নয়নের জন্য আমি একটা মাস্টার প্ল্যান করতে বলেছি। আজকে আমার করা ব্রিজের ওপর দিয়ে এখান থেকে আমি দিনাজপুর যাব। এভাবে সারা বাংলাদেশের উন্নয়ন করেছি আমরা। শেখ হাসিনা বলেন, আগামী নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্বাচনে আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন। পীরগঞ্জে আপনারা আমাকেই ভোট দেবেন। শুধু ব্যালটে শিরীন শারমিন চৌধুরীর নাম থাকবে।
এরপর প্রধানমন্ত্রী রংপুরের আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন এবং নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান। এ সময় শিরীন শারমিন চৌধুরীর হাত উঁচু করে ধরে তিনি বলেন, এই যে আমার মেয়েকে আপনাদের সামনে তুলে দিচ্ছি। শিরীন নির্বাচিত হলে তাকে আমরা আবারও স্পিকার করতে পারব। শিরীন যেভাবে আপনাদের জন্য কাজ করছে আমি হলে অতোটা পারতাম না। কারণ আমার সারা দেশ নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা নৌকাকে ভোট দেবেন। আবার যেন আপনাদের সেবা করতে পারি, আবার যেন আপনাদের জন্য কাজ করতে পারি। এটাই সবার কাছে আমার আবেদন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছে বলে মানুষ স্বাধীনতা পেয়েছে। নৌকা মার্কায় ভোট দিলে মানুষের উন্নয়ন হয়। এই অঞ্চল ছিল মঙ্গা, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর আর মঙ্গা হয় নাই। কেউ না খেয়ে নাই। পুরো রংপুর ছিলো দুর্ভিক্ষ এলাকা। আমি বদরগঞ্জ এসেছিলাম। তখন দেখেছি দুর্ভিক্ষ। এখন সেই দুর্ভিক্ষ নেই। আপনারা নৌকায় বারবার ভোট দিয়েছেন বলেই উন্নয়ন হয়েছে।’
রবিবার সকালে ঢাকা থেকে সৈয়দপুর হয়ে রংপুরে গিয়ে দুপুরে তারাগঞ্জে প্রথম জনসভায় বক্তব্য শেষে ফতেপুরে স্বামীর পারিবারিক কবরস্থানে যান তিনি। এসময় শ্বশুর, শাশুড়ি, ভাসুর ও প্রয়াত স্বামী ড. ওয়াজেদ মিয়ার কবর জিয়ারত করেন শেখ হাসিনা।