নির্বাচন থেকে সরে গেলেন লতিফ সিদ্দিকী

77

কাজিরবাজার ডেস্ক :
সিইসিকে ব্যর্থ আখ্যা দিয়ে সংসদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন টাঙ্গাইল-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী লতিফ সিদ্দিকী। গতকাল বিকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সঙ্গে দেখা করে সাংবাদিকদের এমন সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি। লতিফ সিদ্দিকী বলেন, আমি আর নির্বাচন করছি না। কারণ মাঠ নির্বাচন করার মতো সমতল নয়। মাঠ এমনই সমতল যে পুলিশের বুটের তলে পড়তে হয়। আর সন্ত্রাসীদের লাঠির আঘাত খেতে হয়। আমার অফিস ভেঙে দিয়েছে। আমার নিরীহ লোকদের প্রতিনিয়ত গ্রেপ্তার করছে।
যারা সমর্থক তাদের পুলিশ প্রতিনিয়ত টেলিফোন করে ভয় দেখাচ্ছে। এর পরে আর ইলেকশন করা যায় না কী?
এক প্রশ্নের জবাবে লতিফ সিদ্দিকী বলেন, সিইসির সঙ্গে দেখা করেছি। কিছুই চাইনি। আমি কিছু চাওয়ার লোক না। আমি বলে আসলাম, আপনি যে পরিচালনাটা করছেন, এই পরিচালনায় আপনি ব্যর্থ। এই পরিচালনায় নির্বাচন হতে পারে না। তাই আমি মাঠ ছেড়ে দাঁড়ালাম। তিনি বলেন, আমি তাকে (সিইসি) বলে দিয়ে আসলাম আপনি স্বীকার করুন আর না করুন আপনি ব্যর্থ। কমিশনের পক্ষ থেকে কি বলা হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছুই বলা হয়নি। আমি তো তার কাছে শুনতে চাই নাই। আওয়ামী লীগের সাবেক এই এমপি বলেন, এখন তো আর প্রত্যাহারের সুযোগ নেই। তাই আমি সরে দাঁড়ালাম। আমি নিরীহ মানুষকে আহত, নিহত হবার সুযোগ কেন করে দেব? যারা আহত নিহত হবে তাদের দায় আমাকে নিতে হবে। আমি সেই দায় নেব না। আমি এত বড় বীরপুরুষ হতে চাই না। এটা স্বাধীনতা যুদ্ধ না যে, মুখোমুখি লড়াই করবো। যার সঙ্গে লড়াই করবো সে আমারই কর্মী কিংবা কর্মীর সন্তান। আমি কেন যাব এই ধরনের হানাহানিতে? যদি নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করতে না পারে।
লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ইলেকশনটা তো বাণিজ্য নয়। আমি জীবনে অনেক ইলেকশন করেছি। ১৯৭০ সাল থেকে শুরু করেছি আজকে ২০১৮ সাল এই রকম নির্বাচন আমি জীবনেও দেখিনি। আমি আর শাহাজাহান সিরাজ ছিলাম দুই প্রতিপক্ষ। কিন্তু আমাদের মধ্যে এই ধরনের কোনো ঘটনা ঘটে নাই। তিনি বলেন, ওসির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে। এখন কি ওসির প্রত্যাহার চান কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন আর কিছুই চাই না। এখন আর সময় আছে না কী? আমি নিজেকেই মাঠ থেকে সরিয়ে নিয়েছি। কার কাছে কী চাইবো? এদেশে চাইলেই কিছু হয় না। ঘটনাক্রমে ঘটে।