সেলিম হাসান কাওছার গোলাপগঞ্জ থেকে :
সিলেট-৬ আসনে প্রার্থীদের প্রচারণায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এরই পাশাপাশি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে অনলাই নিউজ পোর্টালগুলো। তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশের যুগে নির্বাচনী প্রচারেও এসেছে অভিনবত্ব। ভোটারদের কাছে সশরীরে যাওয়ার পাশাপাশি বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে অনলাইন ডিজিটাল প্রচারণায়। বিশেষ করে,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে বক্তব্য। ক্ষমতাসীন দল তুলে ধরছে গত ১০ বছরের সরকারের সাফল্য, অর্থনৈতিক অগ্রগতির কথা। সে সঙ্গে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে পরিস্থিতি কি ছিল, সেটাও তুলে ধরা হচ্ছে নানাভাবে। অন্যদিকে বিএনপিপন্থীরা তুলে দরছেন বর্তমান সরকারের আমলের নানা নেতিবাচক ঘটনা। বলছেন, এগুলো থেকে উত্তরণ ঘটাতে হলে ভোট দিতে হবে ধানের শীষে। প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যানার ও পোস্টার শোভা পাচ্ছে অনলানসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এসব প্রচারের দায়িত্বে থাকা লিটন আহমদ নামে বিয়ানীবাজার পৌরসভার এক বাসিন্দা প্রতিবেদককে বলেন, দেশের মূল জনগোষ্ঠীর একটি অংশ আওয়ামীলীগের সমর্থক। এছাড়া গত ১০ বছরের আ’লীগ সরকার যে উন্নয়ন করেছে এ কারণে নতুন করে অনেক ভোটার তৈরি হয়েছে। এসব প্রচারের মাধ্যমে শিক্ষিত সমাজ এবং তরুণ ভোটারদের আওয়ামীলীগের পক্ষে নিয়ে আসার ব্যাপারে আমরা আশাবাদি। মানুষ উন্নয়নের দিকে তাকালে বিএনপিকে ভোট দেবে না। গোলাপগঞ্জ সদর ইউপির মামুন আহমদ নামে বিএনপির এক সমর্থক বলেন,এসব প্রচরণার কারণে ধানের শীষ আরো জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এবার ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত। আমাদের সমর্থকরা বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত থাকার কারণে সরাসরি প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করতে না পারায় নিজ নিজ অবস্থানে থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধানের শীষ প্রতীকের প্রচারণা করে সহযোগীতা করছেন। অপরদিকে প্রবাসে থাকা আওয়ামীলীগ ও বিএনপির সমর্থকরাও তাদের সমর্থকদের পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে। তফসিল ঘোষনার পর থেকে ক্ষমতাসীন আ’লীগসহ অন্যান্য প্রার্থীরা প্রচারণায় হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন। প্রথমে ধানের শীষের প্রার্থীকে তেমন একটা প্রচারণায় দেখা না গেলেও কয়েকদিন থেকে তিনিও বিশাল কর্মীবহর নিয়ে পাড়া মহল্লা চষে ভেড়াচ্ছেন। ওই আসনে আরো দুই’জন প্রার্থী নির্বাচন করছেন। তবে প্রচারণায় তাদের দেখা মিলছে না।
সকল প্রার্থীদের সাথে সার্বক্ষণিক রয়েছেন একজন ক্যামেরাম্যান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য রয়েছেন বিশ^স্ত লোকজনও। তাদের প্রার্থীরা নির্বাচনী যেসব এলাকায় ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন সাথে সাথেই এসব ফটো ক্যামেরাবন্দী করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের এই প্রচারণার কারণে স্থানীয় ইলেট্রিক, প্রিন্ট মিডিয়া ও অনলাইন নিউজ পোর্টালের সংবাদ কর্মীরা অনেক সহজেই তথ্য সংগ্রহ করতে পারছেন। তবে এ নির্বাচনে প্রিন্ট থেকে অনলাইন টুয়েন্টিফোর নিউজ পোর্টালগুলোকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন প্রার্থীরা। এ নির্বাচনে যারা লড়ছেন, আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, ঐক্যফ্রট (বিএনপির) ধানের শীষ প্রতীকের ফয়ছল আহমদ চৌধুরী, হাতপাখা প্রতীকের ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মুহতারাম আমীর পীর সাহেব চরমোনাই মনোনীত মুহাম্মাদ আজমল হোসেন ও (স্বতন্ত্র) প্রার্থী মোটরগাড়ী প্রতীকের জাহাঙ্গীর হোসেন মিয়া মিলু।