ভোটের লড়াই সিলেট-৪ আসন ॥ ইমরান আহমদ ও দিলদার সেলিমের মধ্যে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি

223

জৈন্তাপুর থেকে সংবাদদাতা :
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সিলেট-৪। জৈন্তা-গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নিয়ে ঘটিত সিলেট-৪ আসন বরাবরের মতো এবারও নৌকার মাঝি’ ইমরান আহমদ ও ধান চাষি’ দিলদার হোসেন সেলিম’র মধ্যে হবে মর্যাদার লড়াই। এ কারণেই নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াইয়ে কোমর বেঁধে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন প্রধান দু’দলের প্রার্থীরা। গণসংযোগ, উঠান বৈঠক, মাইকিং করে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন স্ব-স্ব দলেরে নেতাকর্মীরা। চায়ের দোকানগুলো এখন ভোট উৎসব মুখর। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, আলোচনা ততই বাড়ছে। সব মিলিয়ে গ্রামীণ জনপদের মধ্যে এখন ভোটের আমেজ বিরাজ করছে। ভোটারদের দ্বারে-দ্বারে ঘুরছে সব দলের প্রার্থীরা। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রতি। পোষ্টারে ছেয়ে গেছে পুরো এলাকা। সিলেটর-জৈন্তাপুর ইরাদেবী মাঠ। সেখানে শীতের সন্ধ্যায় কর্মজীবী বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। আলাপের একপর্যায়ে উঠল সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গ। জেলার বিভিন্ন আসন নিয়ে আলোচনার পর আলোচনা এসে ঠেকল সিলেট-৪ আসন। একজন গণমাধ্যমকর্মী বললেন, এবারের নির্বাচনে সিলেট-৪ এ কে জিতবে তা নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারবে না। এক সিএনজি চালক বললেন, ‘লড়াই হবে হাড্ডা-হাড্ডি। এ আসনে বিএনপির ভাল ভোট আছে। প্রার্থীও শক্তিশালী। তাই দলটি অবশ্যই ভাল ভোট পাবে। আবার ইমরান আহমদও একজন ভাল ব্যক্তি। এলাকায় তার কোন বদনামও নেই। তিনি কারো ক্ষতি করেননি। দলের সিনিয়র নেতাকর্মীরা পাশে থাকলে তিনিও ভালো ভোট পাবেন। তবে বিজয়ী কে হবেন তা জানতে নির্বাচনের দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এই সিএনজি চালকের কথায় সায় দিলেন অন্যরাও। জৈন্তার ইরাদেবী মাঠে কর্মজীবী বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের গল্পে গল্পে উঠে আসা এসব কথা আসলে সিলেট-৪ আসনের নির্বাচনী পরিস্থিতির সারসংক্ষেপ। মর্যাদার এ আসনে হাড্ডা হাড্ডির লড়াই হবে ধানের শীষ আর নৌকা প্রতীকের মধ্যে। আসনটি জেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসন। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য মতে, এ আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ৩ লাখ ৮২ হাজার ৪০৫ জন। আসনটিতে প্রার্থী হয়েছেন পাঁচ জন তারা হলেন, বর্তমান ক্ষমতাশীন দল আওয়ামীলীগের ইমরান আহমদ (নৌকা) বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য দিলদার হোসেন সেলিম (ধানের শীষ) আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের এটিইউ তাজ রহমান (লাঙ্গল) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মৌওলানা মো. জিল্লুর রহমান (হাতপাখা)। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির অধ্যাপক মনজ কুমার সেন (কোদাল)।