শিপন আহমদ ওসমানীনগর থেকে :
সাম্প্রতিক সময়ে বিআরটিএ সিলেট সার্কেলে জনবল সংকট বিরাজ করছে। বিআরটিএ সিলেট সার্কেল ও যানবাহন লাইসেন্স, রোড পারমিট সহ যানবাহন সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রমে জড়িত একাধিক পরিবহন মালিক সূত্রে জানা গেছে, বিআরটিএ সিলেট সার্কেলে অনুমোদিত জনবল ১৫ জন হলেও কর্মরত রয়েছে মাত্র ১১ জন। বিআরটিএ সিলেট সার্কেল সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে সুষ্ঠু অফিস ব্যবস্থাপনার স্বার্থে ২জন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা, ১ জন উচ্চমান সহকারী, ১ জন রেকর্ড কিপার পদে পদায়ন করা অতিব জরুরী হয়ে পড়েছে। শূন্য পদে লোকবল না থাকায় সীমিত জনবল দিয়েই পরিচালিত বিআরটিএ সিলেট সার্কেলের স্বাভাবিক কার্যক্রমের বাইরে আরো রয়েছে, সরকারী যানবাহন মেরামত ও অকেজো যানবাহনের প্রতিবেদন প্রদান, সচেতনতা সৃষ্টি কল্পে চালকদের প্রশিক্ষণ প্রদান, সড়ক দুর্ঘটন হ্রাসকল্পে সেমিনার, দুর্ঘটনা পরবর্তী প্রতিবেদন উপস্থাপন, জনসচেতনতা সৃষ্টিকল্পে লিফলেট ও বুুকলেট বিতরণ, সর্বোপরি অবৈধ যানবাহন চলাচলে নিয়ন্ত্রণ আরোপসহ যানজট নিরসনে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা।
জানা যায় ২০১৯ জুলাই হতে ২০২০ জানুয়ারী পর্যন্ত বিভিন্ন সেবা প্রদান বাবদ বিআরটিএ সিলেট সার্কেল রাজস্ব আদায় করেছে ৩৫ কোটি ৭৯ লক্ষ ৬৫ হাজর ৩ শত ৬৪ টাকা। একই সঙ্গে উপরোক্ত সময়ে মোটর যানের রেজিষ্ট্রেশন প্রদান করা হয়েছে ৫০২৯ টি, মোটরযানের ফিটনেস প্রদান করা হয়েছে ১৩৪৮০ টি, মোটরযানের রুট পারমিট দেয়া হয়েছে ৪০৬৪ টি, অনুরূপভাবে ১৭৩৮ পেশাজীবী গাড়ীচালককে প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে ৬৯৮৬ টি। আবার শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে ৩০৯৯৯ টি। বিআরটিএ’তে বিদ্যমান সমস্যা ও সামগ্রিক সফলতা সম্পর্কে সিলেট সার্কেলের সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিঃ) মোঃ সানা উল্লাহ বলেন, আমাদের জনবল সংকট রয়েছে। তাছাড়া নিজস্ব ভবন, পরিবহন সংকট তো রয়েছেই। তিনি বিআরটিএ’তে আগত গ্রাহকরা যাতে হয়রানীর শিকার না হন কিংবা দালালের খপ্পরে পড়ে প্রতারিত না হন সে জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেতন হওয়ার আহবান জানান।