কমলগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে প্রিসাইডিং অফিসার যাচাই বাছাই-এ শুরু হয়েছে পুলিশি তদন্ত। কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে উপজেলার বিভিন্ন বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নামের তালিকা সংগ্রহ করার পর রোববার সকাল থেকে নামের এই তালিকা ধরেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
রবিবার কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখেই আগে থেকেই প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য সম্ভাব্য প্রিসাইডিং ও সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারদের তালিকা তৈরী করা হয়। ইতিমধ্যেই উপজেলা প্রশাসনের প্রতিটি বিভাগীয় কর্মকর্তা, সহকারী কর্মকর্তা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান, ব্যাংক শাখা ব্যবস্থাপকদের নামের তালিকা সংগ্রহ করা হয়েছে। সংগৃহীত তালিকার কপি আবার কমলগঞ্জ থানায় প্রেরণ করা হলে সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে তালিকাভুক্তদের সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এজন্য পুলিশ মাঠ পর্যায়ে তদন্ত শুরু করে। এমনকি সরাসরি তালিকাভুক্ত সম্ভাব্য প্রিসাইডিং ও সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারদের সাথে কথা বলে তাদের কর্মস্থল, পরিবার সম্পর্কিত তথ্য এমনকি নিজের বাড়ি ও শ্বশুর বাড়ি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করছে পুলিশ।
কমলগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামছুননাহার পারভীনসহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বিভাগীয় কর্মকর্তা জানান, কমলগঞ্জ থানা থেকে একজন উপ পরিদর্শক মুঠোফোনে কথা বলেছেন। উপ পরিদর্শক এসময় তার কর্মস্থল, পারিবারিক অবস্থান, স্বামীর তথ্য, সন্তানাদির তথ্য, এমনকি শ্বশুর বাড়ি সম্পর্কে তথ্য জেনে নিয়েছেন।
কমলগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুধীন চন্দ্র দাস আসন্ন সংসদ নির্বাচনে উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে প্রাপ্ত এ উপজেলায় তালিকাভুক্ত সম্ভাব্য প্রিসাইডিং ও সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারদের তালিকা তদন্ত শুরু করার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এটি একটি রুটিন কাজ। তদন্তকালে তালিকাভুক্ত অফিসারদের সাথে কথা বলে আর জেনে নেওয়া হচ্ছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ভোট গ্রহনের দায়িত্ব পালন করবেন কিনা। এখানে কোন চাপ নয়। তালিকাভুক্ত অফিসাররা জাতীয় দায়িত্ব পালন করবেন দেশের জন্য। তদন্ত প্রতিবেদন তারা আবার উপজেলা নির্বাচন অফিসে প্রেরণ করলে পরবর্তী কাজটি নির্বাচন অফিস করবে।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম তালিকাভুক্ত সম্ভাব্য প্রিসাইডিং ও সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারদের সম্পর্কে পুলিশের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহের সত্যতা নিশ্চিত করেন। নির্বাচন অনুষ্ঠানে এটি একটি নিয়মিত কাজ। তদন্ত করে দেখা কে কতটুকু দক্ষ হবেন, নিরপেক্ষভাবে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করবেন তাও জেনে নেওয়া হচ্ছে। এ উপজেলায় এ ধরনের দায়িত্ব পালনে দেড় সহ¯্রাধিক কর্মকর্তা রয়েছেন। তবে কমলগঞ্জ উপজেলায় প্রয়োজন ১১ শত কর্মকর্তা। তালিকাভুক্ত দেড় সহ¯্রাধিক কর্মকর্তা থেকে বাছাই করে সরাসরি দায়িত্ব পালনের প্রয়োজনীয় কর্মকর্তা ও সংরক্ষিত কিছু কর্মকর্তা বাছাই করা হবে। বাছাই শেষে আবার তাদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে।