কুলাউড়ার ভাটেরা রাবার বাগানের ট্রেপিং সুপারভাইজার ॥ ৪০ বছর থেকে জালিয়াতি করে চাকরির অভিযোগ

56

কুলাউড়া থেকে সংবাদদাতা :
কুলাউড়া উপজেলার একমাত্র সরকারি ভাটেরা রাবার বাগানে জালিয়াতি করে ৪০ বছর থেকে চাকরি ও সরকারি সুযোগ সুবিধা ভোগের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই জালিয়াতি প্রমাণিত হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দেয়া হয়েছে।
ভাটেরা রাবার বাগান সূত্রে জানা যায়, বাগানে কর্মরত ট্রেপিং সুপারভাইজার বরমচাল ইউনিয়নের দক্ষিণ রাউৎগাঁও গ্রামের ইয়াকুব আলীর পুত্র মো. নানু মিয়া প্রকৃত পরিচয় গোপন রেখে ১৯৭৮ সালে ১৯ নভেম্বর চাকরিতে যোগদান করেন। কিন্তু ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা ও জাতীয় পরিচয়পত্রে তিনি তার নাম নুনু মিয়া হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেন। তারই আপন ছোট ভাই নানু মিয়ার নামে ও সার্টিফিকেটে নুনু মিয়া জালিয়াতি করে গত ৪০ বছর থেকে চাকরি ও সরকারি সুযোগ সুবিধা ভোগ করছেন। যা সরকারি চাকুরি বিধি পরিপন্থী।
এদিকে সর্বশেষ ভোটার তালিকায় নানু মিয়ার নামের পাশে কৃষক এবং নুনু মিয়ার নামের পাশে বেসরকারি চাকুরি হিসেবে উল্লেখ রয়েছে।
এদিকে বিষয়টি জানতে পেরে বাগান ব্যবস্থাপক (চলতি দায়িত্ব) মো. মকবুল হোসেন গত ১৮ সেপ্টেম্বর নুনু মিয়ার জালিয়াতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনের মহাব্যবস্থাপক বরাবরে চিঠি দেন। যার অনুলিপি বশিউক পরিচালক, সচিব, চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন দফতরে প্রেরণ করেন।
অভিযুক্ত নানু মিয়া মোবাইল ফোনে জানান, অভিযোগ সম্পর্কে আমি কিছু জানি না। আমিতো নানু মিয়া হিসেবেই চাকরি করছি।
ভাটেরা বাগান ব্যবস্থাপক (চলতি দায়িত্ব) মো. মকবুল হোসেন জানান, জালিয়াতির বিষয়টি জানতে পেরে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছি। বাকিটা উনারা তদন্তক্রমে ব্যবস্থা নেবে।
বাগানের বর্তমান ব্যবস্থাপক আরিফ হোসেন জানান, ইতোমধ্যে বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বিষয়টি তদন্তাধীন আছে।