উপজেলা আওয়ামীলীগের কর্মীসভা ॥ সঠিক মাঝির হাতে নৌকা দেয়ার দাবি

31

সিলেট-৬ আসনের আসনের সংসদ সদস্য শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের বিরুদ্ধে একাট্টা গোলাপগঞ্জের আওয়ামী লীগ পরিবার। উপজেলা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে সভা হচ্ছে তার বিরুদ্ধে। সর্বশেষ বুধবার উপজেলা আওয়ামী লীগের কর্মী সমাবেশে ক্ষোভ ঝাড়ের ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। সভায় তারা বলছেন, নুরুল ইসলাম নাহিদকে এমপি নির্বাচিত করেছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। এর পর হয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। হয়েছেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য। অথচ উপজেলা আওয়ামী লীগের কোন মূল্যায়ন নেই তার কাছে। এমনকি দেখা করতে চাইলেও সুযোগ দেয়া হয়নি। বিভিন্ন এলাকায় সরকারি সফরে এসে কর্মী সভার নাম করে তিনি সভা করেন। এসব সভায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকদের নিয়ে করেন এসব দলীয় সভা। অথচ এসব সভায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দাওয়াত করা হয় না। এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে প্রায় ১০ বছর যাবত উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে দলীয় নেতাকর্মীদের সম্পৃক্ত করা হয় না। উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের কমিটিতে দেয়া হয়েছে জামায়াত ঘেঁষা লোকদের। এমনকি বাঘায় একটি সভায় জামায়াতের এক নেতা সভাপতিত্ব করেছেন বলেও অভিযোগ করেছেন নেতাকর্মীরা।
তারা বলেন, বর্তমানে ‘বিশেষ সহকারী, আস্থাভাজন ও হাইব্রীড’ দের কাছে জিম্মি উপজেলা ত্যাগী পরীক্ষিত দলীয় নেতাকর্মীরা। কমিটি করতে চাইলেও তারা বাধা হয়ে দাঁডান। যার ফলে আওয়ামী লীগের কোন কমিটি নেই ১০ বছর যাবত। এছাড়া ছাত্রলীগের অবস্থা একই। সভায় বিভিন্ন ওয়ার্ডের দলীয় নেতাকর্মীরা বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ এখন ধবংসের দ্বরপ্রান্তে। জননেত্রী শেখ হাসিনা তাকে বার বার মনোনয়ন দিয়েছেন। আর তাকে নির্বাচিত করেছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। কিন্ত ফল হয়েছে উল্টো। আগামী নির্বাচনে সঠিক মাঝির হাতে নৌকা তুলে দিতে জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ করেন বক্তারা।
অভিযোগ করে নেতাকর্মীরা আরও বলেন, শিক্ষামন্ত্রী কয়েকজন ব্যক্তিকে নিয়ে ঘুরে বেড়ালেও তার কাছে ভিড়তে পারেন না আওয়ামী লীগের লোকজন। শিক্ষামন্ত্রীর বিশেষ সহকারী, আস্থাভাজন ও হাইব্রীডরা লুটেপুটে খাচ্ছে। সঠিক উন্নয়নও হচ্ছে না এ উপজেলায়। তারা বলেন, নাহিদ ছাড়া নেত্রী নৌকা যাকে দিবেন তাকেই তারা ভোট দেবেন।
উপজেলার সদরে একটি কমিউনিটি সেন্টার এ সভা অনুষ্টিত হয়। আওয়ামী লীগের কর্মী সভা হলেও এতে যোগ দেন বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী। ফলে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। সভায় সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোটে ইকবাল আহমদ চৌধুরী।
উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক লুৎফুর রহমান ও সদর ইউনিয় আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস ছামাদ জিলুর যৌথ পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্টার বদরুল ইসলাম সোয়েব, জেলা পরিষদ সদস্য সায়্যিদ আহমদ সুহেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শরফ উদ্দিন, ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক আবুল লেইছ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী রিংকু, আওয়ামী নেতা জগলুল আহমদ চৌধুরী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রুহিন আহমদ খান, লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম চৌধুরী মছলু, লক্ষীপাশা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুর রহিম নান্টু, ভাদেশ্বর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রব, শরীফগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি লুৎফুর রহমান, ফুলবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মখলিছুর রহমান, বাদেপাশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কাদির, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল কবির এনাম, আমুড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মঈন উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক বদরুল হক, বাদেপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মস্তাক আহমদ, পৌর আওয়ামীলীগ নেতা ফরিদ উদ্দিন ইরান, বুধবারীবাজার ইউনিয়ন আওয়ালীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহিদ, সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুস সামাদ জিলু, বাদেপাশা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আলিম উদ্দিন, আমুড়া ইউনিয়িন আ.লীগের সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর মজিদ চৌধুরী, আমুড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক আবু সুফিয়ান আজম, উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ওহীদুর রহমান ছানা, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমজেড আলম, পৌর ছাত্রলীগ নেতা মাজেদ শরীফ চৌধুরী, নাদিম মাহমুদ শিপলু, পৌর আওয়ামী সহ দপ্তর সম্পাদক মিনহাজ উদ্দিন, আওয়ামীলীগ নেতা রুমেল সিরাজ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রেদওয়ান আহমদ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি