আজ ৬ নভেম্বর মঙ্গলবার। এক ঐতিহাসিক দিন। ৯৯ বছর আগে ১৯১৯ সালের ৬ নভেম্বর কবিগুরু সিলেটে পদার্পণ করেছিলেন। সিলেটকে আখ্যায়িত করেছিলেন শ্রীভূমি বলে। সেই ঐতিহাসিক দিনে রবি ঠাকুর সিলেটে পদার্পণের পর ঐতিহ্যবাহী এমসি কলেজের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার পর পরিদর্শনে যান মাছিমপুর মণিপুরী পাড়া। সেদিন মাছিমপুরের মণিপুরীদের পরিবেশিত মণিপুরী নৃত্য দেখে মুগ্ধ হন বিশ্বকবি। এরপর কমলগঞ্জের মণিপুরী গ্রাম বালিগাঁওয়ের নৃত্যগুরু নীলেশ্বর মুখার্জীকে নিয়ে যান শান্তিনিকেতনে। এরই ধারাবাহিকতায় আন্তর্জাতিক বিশ্বে ব্যাপক পরিচিতি পায়। মণিপুরী নৃত্য খ্যাতি লাভ করে বিশ্বনন্দিত নৃত্য হিসাবে।
এই ঐতিহাসিক স্মৃতি স্মরণে রাখতে মাছিমপুর মণিপুরী পাড়ায় সিলেট সিটি কর্পোরেশন স্থাপন করেছে দৃষ্টিনন্দন রবীন্দ্র স্মৃতিস্তম্ভ। এই স্মৃতিস্তম্ভের পাদদেশে আয়োজন করা হয়েছে শ্রী ভূমি সিলেটে কবিগুরুর পদার্পণের ৯৯ তম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান। বিশ^কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পদার্পণ দিবস উদ্যাপন পরিষদ-২০১৮ আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে, বিকাল ৪টায় কবিবরণ, ৪টা ১০ মিনিটে কবি প্রণাম, ৪টা ২০ মিনিটে শ্রদ্ধাঞ্জলি, ৪টা ৩০ মিনিটে রাখালনৃত্য, বিকেল ৫টায় রাসনৃত্য, মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলনও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে, আলোচনা সভা বিকেল সন্ধ্যে ৬টায়, কবিগুরুকে নিবেদিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান রাত ৮টায়।
অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও গণ পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান, প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, মুখ্য আলোচক হিসেবে থাকবেন রবীন্দ্র গবেষক ও মেট্টোপলিটন ইউনির্ভাসিটি সিলেটের পরিচালক (অর্থ) মিহির কান্তি চৌধুরী। এছাড়াও অনুষ্ঠানে রবীন্দ্র অনুরাগী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ গুণীজন অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। সংশ্লিষ্ট সকলকে যথাসময়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন পরিষদের আহবায়ক ডা. পুলিন কুমার সিংহ ও সদস্যসচিব বিলাস সিংহ। বিজ্ঞপ্তি