প্রায় ১০ লাখেরও বেশি নাগরিকদের সিলেট নগরীতে এতোদিন পাবলিক টয়লেট ছিলো মাত্র দুটি। তাও ছিল কেবল পুরুষদের ব্যবহার উপযোগী। এখন আর সেই দিন নেই। দিন বদলের এই যুগে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে পাবলিক টয়লেটেও। সিলেট নগরীর চৌহাট্টার পর এবার নগরীর ধোপাদীঘিরপারে সোমবার বিকেলে নান্দনিকতার ছোঁয়ায় নারী-পুরুষ ও প্রতিবন্দি উভয়ের ব্যবহার উপযোগী দ্বিতীয় পাবলিক টয়লেট চালু করা হয়েছে।
বহুজাতিক সেবা সংস্থা ওয়াটার এইড এবং এইচ এন্ড এম ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় সিলেট সিটি কর্পোরেশন এই পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করে। নবনির্মিত এই পাবলিক টয়লেটের উদ্বোধন করেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আধুনিক এই পাবলিক টয়লেট উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে সিলেট নগরী স্মার্ট সিটি বিনির্মানে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল। তিনি বলেন, আগামী কয়েকবছরের মধ্যে সিলেট হবে একটি আধুনিক ও স্বাচ্ছন্দে বসবাসযোগ্য একটি স্মাট নগরী। যার কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।
মেয়র বলেন, ‘সিলেট মহানগরকে একটি স্মার্ট সিটি হিসেবে উপহার দিতে নগরীর জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে আরো পাবলিক টয়লেট স্থাপন করা হবে। ইতিমধ্যে চৌহাট্টায় স্থাপিত পাবলিক টয়লেট মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, কদমতলী, আদালতচত্তর, টিলাগড় সহ জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্থাপন করা হবে আরো কয়েকটি পাবলিক টয়লেট’। তিনি জানান, এ বিষয়ে বহুজাতিক সেবা সংস্থা ‘ওয়াটার এইড’ এবং এইচ এন্ড এম ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাদের সাথে কথা হয়েছে। তারা নগরীর জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে আরো কয়েকটি পাবলিক টয়লেট স্থাপন করার আশ্বাস দিয়েছেন।
বেলুন উড়িয়ে ও ফলক উন্মেচন, ফিতা কেটে পাবলিক টয়লেটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এ সময় মোনাজাত করা হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ‘ওয়াটার এইড’ এবং এইচ এন্ড এম ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ড্যানিয়েল প্যালিন, প্রজেক্ট ম্যানেজার এবিএম মোবাশের হোসাইন ও যোগাযোগ কর্মকর্তা সামিয়া মালিক। এছাড়া সিসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আকবর, রুহুল আলম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা হানিফুর রহমান ছাড়াও সিসিকের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি