কানাইঘাটে ফারুক হত্যাকান্ডের ঘটনাস্থল পুলিশে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার পরিদর্শন, জড়িতদের ছাড় না দেওয়া ঘোষণা

63

কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
পূর্ব বিরোধের জের ধরে কানাইঘাট পৌরসভার বায়মপুর (বদিকোনা) গ্রামের মৃত জমশেদ আলী উরফে আছদ রাজার পুত্র ফারুক আহমদ কে অত্যন্ত নৃশংস ভাবে কুপিয়ে হত্যা মামলার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কানাইঘাট সার্কেলের এএসপি আমিনুল ইসলাম সরকার। গতকাল মঙ্গলবার দুুপুর ১টার দিকে তিনি কানাইঘাট থানার ওসি (তদন্ত) নুনু মিয়া ও ফারুক হত্যার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ ইসমাইল হোসেনকে সাথে নিয়ে হত্যার কান্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় উপস্থিত স্থানীয় এলাকাবাসী ও ফারুক হত্যাকান্ডের প্রত্যক্ষদর্শীরা কিভাবে নির্মম কায়দায় একই গ্রামের মৃত আরব আলীর পুত্র ইসলাম উদ্দিন, শরীফ উদ্দিন, নূর উদ্দিন ও তাদের পরিবারের লোকজন ফারুক আহমদ কে হত্যা করে তার লৌহর্ষক ঘটনার চিত্র তুলে ধরেন এএসপি আমিনুল ইসলাম সরকারের কাছে। অনেক প্রবীণ লোকজন কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন গত ১৬ আগষ্ট সকাল ৭টার দিকে ফারুক আহমদ ও তার ভাই আলা উদ্দিন, মাসুক আহমদকে সাথে নিয়ে তাদের খরিদা কুওরের মাটি মৌজায় অবস্থিত এক খন্ড ফসলী জমিতে ধান চাষ করতে যান। এ সময় পূর্ব শত্র“তার জের ধরে ইসলাম উদ্দিন গংরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র লোহার রড, ঝাটা, লাঠি-সোটা নিয়ে ৩ ভাইয়ের উপর পরিকল্পিত ভাবে হামলা করে। ফারুক আহমদকে ধরে ঠান্ডা মাথায় খুনিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের একাধিক স্থানে রক্তাক্ত আঘাত করে পৈশাচিক কায়দায় হত্যাকান্ড সংঘটিত করে এবং ফারুকের ভাই আলা উদ্দিন ও মাসুক উদ্দিনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এ ধরনের নির্মম হত্যাকান্ড এর আগে এলাকায় আর কখনো ঘটেনি বলে পুলিশের কাছে জবানবন্দী দেন উপস্থিত লোকজন। এ সময় মামলার বাদী ও নিহত ফারুকের পরিবারের সদস্য ও উপস্থিত লোকজন কে এএসপি আমিনুল ইসলাম সরকার শান্তনা প্রদান করে বলেন, যারা প্রকাশ্যে এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে পুলিশ সব ধরনের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তিনি পলাতক মামলার আসামীদের গ্রেফতার করতে পুলিশ কে সহযোগিতা করার জন্য স্থানীয়দের প্রতি আহবান জানান। এ সময় ফারুক আহমদের পরিবারের লোকজন ও মামলার সাক্ষীরা জানান হত্যা মামলাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য মামলার আসামীর পরিবারের মহিলা সদস্যরা নিহত ফারুক আহমদ সহ অনেকের বিরুদ্ধে পৃথক ২টি মিথ্যা মামলা আদালতে দায়ের করে হয়রানী করছে। এএসপি আমিনুল ইসলাম এসব মামলা নিয়ে কাউকে হয়রানী করা হবে না বলে জানান।