শঙ্কা নেই, নির্ধারিত সময়েই হবে বিপিএল- বিসিবি সভাপতি

46

স্পোর্টস ডেস্ক :
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়টি মাথায় রেখেই চলতি বছরের অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে (৫ জানুয়ারি) বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটের (বিপিএল) ষষ্ঠ আসরের নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছিল বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল।
২৭ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাবনা থাকলেও নির্বাচন কমিশন থেকে এখনও এই মর্মে কোন আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না আসায় কবে অনুষ্ঠিত হবে তা নিয়ে শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। তবে এমন শঙ্কা উড়িয়ে দিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
তিনি জানিয়েছেন, জাতীয় নির্বাচন বিপিএলে কোন প্রভাব ফেলবে না। তবে হয়তো দু’একদিন পেছাতে পারে।
‘নির্বাচনের জন্য আমরা অপেক্ষা করব না। জিম্বাবুয়ে আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের সফর নিয়ে কিন্তু আগেই ডেট ফিক্সড ছিল। এই দুই সিরিজের জন্যই মূলত বিপিএল পিছিয়ে দিতে হয়েছে। নির্বাচনের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। ডিসেম্বরে আয়োজন করা যেত। কিন্তু তখন আবার খেলোয়াড় পাওয়া যাবে না। তবে নির্বাচনের তারিখ যতো তাড়াতাড়ি জানব ততো সুবিধা। এখন পর্যন্ত ডিসেম্বরের শেষে হতে পারে বলে জানি। এটা আবার পরিবর্তন হতে পারে। আগে হলে তো ভালো।’
অতীতের জাতীয় নির্বাচনগুরোর অভিজ্ঞতা থেকে বলাই যায় যে, নির্বাচন ঘনিয়ে এলে এমনকি পরবর্তীতেও দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে না। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত সম্ভাব্য তারিখ অনুযায়ী সত্যিই যদি আগামি ২৭ কিংবা ২৯ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তাহলেও কিন্তু সেই শঙ্কা থাকছেই, যেহেতু বিপিএল মাঠে গড়ানোর তারিখ ৫ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিরোধী দলের ক্রীড়াবন্ধব মানসিকতা পাপনের সেই আশঙ্কাও দূর করেছে।
‘ক্রিকেটে আজকে যে জায়গায় এসেছে, তাতে আমরা সবার সমর্থন পাচ্ছি। আমাদের একটা খেলা ছিল বিপিএলে চিটাগং। আমি ল্যান্ড করার সাথে সাথে হরতাল তুলে নেয়া হলো। বিরোধী দলও ক্রিকেটকে ছাড় দিয়ে এসেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খেলার জন্য পাগল। তবে সমস্যা তো থাকবেই।’
‘আমার ধারণা, সবার সহযোগিতা পাব। সবাই আমাদের যে সমর্থন দিচ্ছে, এটা পেলে কোনো সমস্যা হবে বলে মনে হয় না। এটা নিয়ে চিন্তা করে খেলাধুলা তো আর পেছানো যাবে না। ৫ তারিখ থেকে সরানোর কোনো কারণ নেই। এর মধ্যে যদি নির্বাচনের তারিখ পড়ে যায় আর ওরকম কোনো অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি না হলে সেটা থেকে সরব না।’