ছাতকে সেপ্টেম্বরে বজ্রপাতে পাঁচ জনের মৃত্যু, আহত ৬

34

আতিকুর রহমান মাহমুদ ছাতক থেকে :
ছাতকে সেপ্টেম্বর মাসে বজ্রপাতে স্কুল ছাত্রসহ ৫ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ৬জন। ঘন-ঘন বজ্রপাতে হতাহতের ঘটনায় এখানের লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে চারজন ও নৌকায় শ্রমিকের কাজ করতে গিয়ে বজ্রপাতে একজনসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মোট পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে।
জানা যায়, ২৯ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের বারকাহন গ্রাম সংলগ্ন হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে আশ্রব আলী (৫৫) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। সে বারকাহন গ্রামের মৃত আবদুর রহিমের পুত্র। এসময় আছকির আলীর পুত্র দুদু মিয়া (২৮) ও পাটিভাগ গ্রামের রমিজ আলীর পুত্র আজাদ মিয়া (৩০) আহত হয়। পরে স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে ছাতক উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আশ্রব আলীকে মৃত ঘোষনা করেন। ২৪ সেপ্টেম্বর সকালে উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের ছনখাইড় গ্রাম সংলগ্ন হাওরে মাছ ধরতে গেলে বজ্রপাতে জমির হোসেন (৪৫) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। সে দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের কুশিউরা গ্রামের মৃত শুকুর আলীর পুত্র। ১৪ সেপ্টেম্বর সকালে চাচার সাথে বাড়ির পাশর্^বর্তী গোয়ার হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে খায়ের হোসেন (১৮) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়। সে উপজেলার জাউয়াবাজার ইউনিয়নের বাদেশ্বরি গ্রামের পান ব্যবসায়ি খালেক মিয়ার পুত্র। ১২ সেপ্টেম্বর দুপুরে বাড়ি সংলগ্ন বারগাই হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যায় স্কুল ছাত্র হৃদয় দেবনাথ (১৪)। সে উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামের রাধু দেবনাথের পুত্র। একই সময় বজ্রপাতে কালারুকা এলাকায় সুরমা নদীতে মামুন মিয়া (২৭) নামের আরো একজন বাল্কহেড নৌকা শ্রমিকের মৃত্যু হয়। সে পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার তাপালবাড়ি গ্রামের মৃত আইনুল হকের পুত্র। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে বজ্রপাতে কৃষক ইন্তাজ আলী (৩০), জমিরুল হক (৪০), মফিজ আলী (৫৫), স্কুল ছাত্র রঞ্জন দেবনাথ (১৩), দুদু মিয়া, (২৮) ও আজাদ মিয়া (৩০) নামের ৬ ব্যক্তি আহত হয়েছেন।