কাজিরবাজার ডেস্ক :
কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ সনদ দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্সের সমমান দেয়ার পর সোমবার সরকারি চাকরিতে যোগ দিচ্ছেন এক হাজার ১০জন কওমি ছাত্র।
আগের দিন রবিবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। বাংলাদেশের এই ধারার মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সনদের স্বীকৃতি না থাকায় এতদিন সরকারি চাকরির জন্য বিবেচিত হতেন না কওমির ছাত্ররা।
ইসলামিক ফাউন্টেশনের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ফাউন্ডেশনের অধীন বাস্তবায়নাধীন মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম (ষষ্ঠ পর্যায়) প্রকল্পের দারুল আরকাম ইবতেদায়ি মাদ্রাসায় কওমি নেসাবের শিক্ষক হিসেবে যোগ দেবেন কওমির ছাত্ররা।
ওই শিক্ষকদের জন্য তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। সোমবার বেলা আড়াইটায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব সাহানে এই কর্মশালার উদ্বোধন করবেন ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান।
১৯৯৯ সালে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রীক রাজনৈতিক দল ইসলামী ঐক্যজোট জোট করে কওমি মাদ্রসার সনদের স্বীকৃতির জন্য। জামায়াতের সঙ্গে আদর্শিক বিরোধ থাকলেও তারা এই সিদ্ধান্ত নেয় সনদের জন্য।
২০০১ সালে নির্বাচনের পর এই জোট ক্ষমতায় আসে। আর ২০০৬ সালে ওই সরকারের শেষ বছরে কওমি সনদের স্বীকৃতির ঘোষণা দেয়া হলেও আ কিছু করা হয়নি।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সনদের স্বীকৃতির জন্য কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারাসিল আরাবিয়ার প্রধান আহমেদ শাহ শফির নেতৃত্বে কমিটি করে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে নিজেদের মধ্যে বিরোধের কারণে এই কমিটি প্রতিবেদন দিতে পারেনি, আর কওমি সনদের স্বীকৃতির বিষয়টি ঝুলে যায়।
কবে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল গণভবনে আহমেদ শাহ শফির নেতৃত্বে কওমি আলেমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন এবং সেখানেই কওমি সনদের স্বীকৃতির ঘোষণা আসে।
এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ সনদ দাওরায়ে হাদিস পাবে মাস্টার্সের (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) সমমান।
এই সিদ্ধান্তের পর আওয়ামী লীগের সঙ্গে কওমি মাদ্রাসার ছাত্র- শিক্ষকদের সন্দেহ সংশয়ের বরফ গলতে শুরু করে।