মো. শাহজাহান মিয়া জগন্নাথপুর থেকে :
জগন্নাথপুরে হাওরের ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধের কাজ নিয়ে চলছে লুকোচুরি। ছোট কাজে দেয়া হয়েছে বড় বরাদ্দ। ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধে অনিয়ম যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে।
১৬ ফেব্র“য়ারি রবিবার সরজমিনে জগন্নাথপুর উপজেলার নলুয়ার হাওর রক্ষা বেড়িবাঁধের বিভিন্ন স্থানে কাজে অনিয়ম সহ নানা অভিযোগ তুলে ধরেন স্থানীয় কৃষকরা। মইয়ার হাওর রক্ষা বেড়িবাঁধের ২৪ নং পিআইসি এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ২টি ভাঙন মাটি ভরাট করা হয়েছে। এতে প্রায় ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা লাগতে পারে বলে স্থানীয়রা জানান। যদিও ২৬০ মিটার কাজের বিপরীতে পিআইসি কমিটির সভাপতি সাজিদুর রহমান খলিলকে প্রায় ১৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া বাধের কাজ থেকে কাটা হয়েছে মাটি। ২৫নং পিআইসিতে ১টি ভাঙনে মাটি ভরাট হয়েছে। এতে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার কাজ হয়েছে বলে কৃষকরা জানান। যদিও ১১৩ মিটার কাজের বিপরীতে পিআইসি কমিটির সভাপতি আবুল বশরকে দেয়া হয়েছে ৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে বাধের কাছ থেকে গর্ত করে তোলা হয়েছে মাটি। ২৬নং পিআইসিতে ২টি ভাঙনে নামমাত্র কাজ হয়েছে। এতে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার কাজ হলেও পিআইসি কমিটির সভাপতি এলাছি বিবিকে দেয়া হয়েছে ৮ লাখ টাকা বরাদ্দ। এমন অভিযোগ হাওরে জমি চাষাবাদ করতে আসা কৃষকদের। তবে ২৩নং পিআইসিতে সন্তোষ জনক কাজ হতে দেখা যায়। ৮ লাখ টাকায় এ প্রকল্পের কাজ পেয়েছেন পিআইসি কমিটির সভাপতি বাবুল মাহমুদ। এছাড়া উপজেলার নলুয়ার হাওর বেড়িবাঁধের ভূরাখালি গ্রাম এলাকায় ১৪ লাখ টাকায় ৬নং পিআইসির সভাপতি হাবিবুর রহমানের কাজে অনিয়মের অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। তবে ৪নং পিআইসি কমিটির সভাপতি আহমদ আলীকে ৭৫০ মিটার কাজের বিপরীতে ১৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এতে বরাদ্দ কম হয়েছে বলে স্থানীয় কৃষক সহ সাধারণ মানুষ জানান। যদিও তাঁর কাজে সাধারণ মানুষ খুশি হয়েছেন।
এসব বিষয়ে জানতে চেষ্টা করেও ফোন রিসিভ না করায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারি প্রকৌশলী (এসও) হাসান গাজীর মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে অভিযুক্ত পিআইসি কমিটির সভাপতি সাজিদুর রহমান খলিল, এলাছি বিবি ও হাবিবুর রহমানের সাথে কথা হলেও তাঁরা এড়িয়ে গেলেও অন্য পিআইসি কমিটির সভাপতি আবুল বশরের মতামত পাওয়া যায়নি।