গণধর্ষণ মামলায় বিশ্বনাথে আরও একজন আসামি গ্রেফতার

10

বিশ^নাথ থেকে সংবাদদাতা :
বিশ^নাথে চিরকুট লিখে আত্মহত্যাকারি পপি বেগকে (২১) গণধর্ষণের মামলার জাহেদ আহমদ (২২) নামের আরও এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। সে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার তেতলী চেরাগী গ্রামের মৃত মতছির আলীর ছেলে। মঙ্গলবার রাতে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতারের পর বুধবার সকালে বিশ^নাথ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। এরপর গতকাল বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত ৯অক্টোবর বুধবার রাতে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার তেতলী চেরাগী গ্রামে বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হন হতদরিদ্র পরিবারের তরুণী পপি বেগম। পপি বিশ^নাথ উপজেলার অলংকারি ইউনিয়নের লালটেক গ্রামের শুকুর আলীর মেয়ে।
ধর্ষণের পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে দুলাভাই ফয়জুল ইসলাম (২৮) কে সাথে নিয়ে নিজ বাড়িতে চলে যায়। ধর্ষণের অপমান সহ্য করতে না পেরে চিরকুট লিখে ওইদিন দুপুরে নিজ বসত ঘরের তীরের সঙ্গে গলায় ওড়না দিয়ে আত্মহত্যা করেন। আত্মহত্যার তিন দিন পর রোববার পপির হাতব্যাগে একটি চিরকুট পান তার মা জোৎ¯œা বেগম। চিরকুটে লেখা ছিল বুধবার রাতে বোনের বাড়ি থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায় তেতলী চেরাগী গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩৫) ও তার সহযোগীরা। রাতভর গণর্ধষণের পর বৃহস্পতিবার ভোরে আবার বোনের বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে যায় জাহাঙ্গীর আলম। ওই চিরকুট পাওয়ার পর ১৪অক্টোবর সোমবার পপি বেগমের পিতা বাদি হয়ে জামাতাসহ ৪জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি গণধর্ষণ মামলা দায়ের করেন, মামলা নং-(৫)। গ্রেফতারকৃত জাহেদ মিয়া ওই মামলার ৩নং আসামি।
বিশ^নাথ থানার ওসি শামীম মূসা বলেন- আমাদের তথ্যানোযায়ী জাহেদ’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। বাকি আসামিদেরকে গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান।