জাতীয় সংসদে বিদ্যুৎ বিল পাস

25

কাজিরবাজার ডেস্ক :
ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সংস্কার সাধন ও মানসম্মত সেবা নিশ্চিত ও বিদ্যুৎ চুরি এবং এ সংক্রান্ত অপরাধে সুনির্দিষ্ট দন্ডসহ প্রয়োজনীয় বিধানের প্রস্তাব করে জাতীয় সংসদে বিদ্যুৎ বিল-২০১৮ পাস করা হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন। ১৯১০ সালের বিদ্যুৎ আইন রহিত করে নতুন করে এ বিল আনা হয়েছে। ফলে বিলে বিদ্যমান আইন রহিত করার বিধান করা হয়েছে। বিলে বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন, সরবরাহ ও বিতরণ ব্যবস্থার সংস্কার, উন্নত প্রযুক্তির প্রবর্তন ও ক্রয়-বিক্রয় এবং সংশ্লিষ্ট কাজের জন্য সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের বিধান করা হয়েছে। সরকার এ লক্ষ্যে গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে একটি ইন্ডিপেনডেন্ট সিস্টেম অপারেটর প্রতিষ্ঠার বিধানও করেছে। এ অপারেটর সিস্টেম চাহিদা অনুযায়ী ন্যায়পরায়ণতার ভিত্তিতে লোড বরাদ্দ করবে।
বিলে লাইসেন্স সরবরাহ এলাকায় বা লাইসেন্সের শর্তানুযায়ী সরবরাহ এলাকার বাইরে সরবরাহ লাইন স্থাপনে প্রয়োজনীয় পূর্তকর্ম সম্পাদন, রাস্তাসহ অন্যান্য স্থাপনার ওপর বা নিচ দিয়ে পূর্তকর্ম সম্পাদনে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে নোটিশ দেয়ার বিধান করা হয়। বিলে বিদ্যুৎ লাইন বা প্ল্যান্ট পরিবর্তন, এরিয়্যাল লাইন স্থাপন, টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবাদানকারী সংস্থাকে নোটিশ, ভূগর্ভস্থ নর্দমাসহ বিশেষ এলাকায় সরবরাহ লাইন স্থাপন এবং পূর্তকর্ম সম্পাদন, ক্ষতিপূরণ প্রদান, পথের অধিকার, ভূমি অধিগ্রহণসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিধান করা হয়েছে।
এছাড়া বিলে বিদ্যুৎ সরবরাহ, মিটার স্থাপন, সংরক্ষণ, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ ও পুনঃসংযোগ, সরবরাহ সাময়িক বন্ধ রাখা, সরবরাহ এলাকার বাইরে বিদ্যুৎ সরবরাহ, সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা, প্রধান বিদ্যুৎ পরিদর্শক এবং পরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিধান করা হয়। বিলে বিদ্যুৎ চুরি, কৃত্রিম পদ্ধতি স্থাপন, বিদ্যুৎ অপচয়, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি চুরি অপসারণ বা বিনষ্ট, চুরির মালামাল দখলে রাখা, মিটার, পূর্ত কর্মে প্রতিবন্ধকতা ও অননুমোদিত ব্যবহার, বিদ্যুৎ স্থাপনার অনিষ্ট সাধনসহ অন্যান্য অপরাধের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট দন্ড প্রদানের বিধান করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ব্যক্তি ও কোম্পানির পক্ষ থেকে সংঘটিত অপরাধের জন্য পৃথক শাস্তির বিধান করা হয়।
জাতীয় পার্টির সেলিম উদ্দিন, ফখরুল ইমাম, রুস্তম আলী ফরাজী, নূরুল ইসলাম মিলন, নূরুল ইসলাম ওমর, কাজী ফিরোজ রশীদ ও বেগম রওশন আরা মান্নান বিলের ওপর জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাব আনলে তা কন্ঠ ভোটে নাকচ হয়ে যায়।