কাজিরবাজার ডেস্ক :
র্তমানে দেশের পাইকারি বাজারে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৬৫ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কয়েক দিন আগেই এই দাম যথাক্রমে ১৩০ টাকা ও ১১০ টাকা ছুঁয়েছিল। তবে দেশে পেঁয়াজের মৌসুম শুরু হওয়ায় এবং মিশর থেকে পেঁয়াজ আমদানি করায় দাম কমতে কমতে এখনকার অবস্থায় পৌঁছেছে।
অন্যান্য বছর এই সময়টাতে পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি গড়ে ২৫ থেকে ৪০ টাকা থাকে। তবে গত মৌসুমে ভারতেও খরার কারণে পেঁয়াজের উৎপাদন কম হয়। সেখানেও বাড়ে পেঁয়াজের দাম। আমদানিতেও পড়ে তার প্রভাব। প্রভাব পড়ে দেশের খুচরা বাজারেও।
তবে অনেক দিন পরে এসে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানিতে কিছুটা সুখবর এসেছে। ভারতের ইকোনোমিক টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, গত ২০ জানুয়ারি থেকে সে দেশে কমেছে পেঁয়াজের দাম। আর প্রথম দফায় তা ২০ ফেব্র“য়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। গত দুই মাসে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বাড়তে বাড়তে টন প্রতি ৮৫০ ডলারে ঠেকেছিল। ২০ জানুয়ারি থেকে সেই দাম দাড়িয়েছে টনপ্রতি ৭০০ ডলার।
হিলি স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, তারা গত রবিবার পেঁয়াজের নতুন দাম-সংক্রান্ত একটি চিঠি পেয়েছে। ভারতের ন্যাশনাল অ্যাগ্রিকালচারাল কো-অপারেটিভ মার্কেটিং ফেডারেশন লিমিটেডের (এনএএফইডি) চিঠিতে বলা হয়েছে, এখন ভারত থেকে দেশের যেকোনো স্থলবন্দর দিয়ে টন প্রতি ৭০২ ডলারে পেঁয়াজ আমদানি করা যাবে। গত বছরের ২৩ নভেম্বর এনএএফইডি পেঁয়াজের টনপ্রতি সর্বোচ্চ দাম ধরে দিয়েছিল ৮৫২ ডলার।
তখন সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, দেশটির বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি দেখা দিয়ে ছিলো বলে বাড়তি দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রায় দুই বছর পর ভারতের আভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের যোগান বেড়ে যাওয়ায় নতুন করে এই দাম নির্ধারণ করা হলো। এদিকে টনপ্রতি প্রায় ১৫০ ডলার দমা কমায় ভারতীয় পেঁয়াজের ঝাঁজ একটু কমবে বলে আশা করছেন বাংলাদেশের আমদানিকারকরা। দিনাজপুর জেলার হিলি স্থলবন্দরের সিএনএফ এজেন্ট এর সদস্য এবং আমদানি-রফতানি গ্রুপের সভাপতি হারুনুর রশিদ জানান, গতকাল সোমবার বিকেলে তারা পেঁয়াজের নতুন দাম-সংক্রান্ত একটি চিঠি পেয়েছেন।
তিনি জানান, দেশের আমদানিকারকরা প্রতিবেশী দেশটি থেকে টনপ্রতি ৭০২ ডলার দরে পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন। আর তা হলে প্রতি ডলার ৮৩ টাকা হিসেবে প্রতি এক হাজার কেজি পেঁয়াজ আমদানিতে সাশ্রয় হবে ১২ হাজার ৪৮২ টাকা। অর্থাৎ এখন থেকে আমদানিকারকরা প্রতি কেজিতে সাড়ে ১২ টাকা কমে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন। তবে দেশের খুচরা বাজারে তার কতটুকু প্রভাব পড়তে তা জানা যাবে আরো কয়েক দিন পরে।