হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় অল্প কিছুদিনের ব্যবধানে ফের প্রকাশ্যে দিন-দুপুরে শহরতলীর ওসমানী রোডের হীরা মিয়া গালস স্কুলের সামনে ৩টি দোকানে সন্ত্রাসী মুছা ও তার সহযোগীরা হামলা চালিয়ে ৩টি মোটর সাইকেলসহ ৭লক্ষ টাকা মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। মুছা পৌর শহরতলীর সালামতপুর এলাকার খোরশেদ আলীর পুত্র। সে নবীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ(স্থগিত) কমিটির সহ-সভাপতি। এঘটনায় ব্যবসায়ী মহলে আতংক বিরাজ করছে। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে নানা আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে ৩টি মোটর সাইকেল যোগে নবীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ (স্থগিত) কমিটির সহ-সভাপতি সন্ত্রাসী মুছা ও সাধারণ সম্পাদক সাঈদুর রহমানসহ ৭/৮জন রামদা, পিস্তল হাতে নিয়ে লেডিস টেইলার্স, ভাই ভাই মোটরস, চৌধুরী মোটরস এ হামলা চালায়।
এ সময় তারা ৩টি মোটরসাইকেল, নগদ ৫০ হাজার, ২টি মোবাইলসহ প্রায় ৭ লক্ষ টাকার মালামাল নিয়ে যায়। এ ঘটনায় শহর জুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছেন। এ ঘটনার পর নবীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুস্তাক আহমেদ মিলু, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান সেফুসহ নবীগঞ্জ থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ভাই ভাই মোটরসের প্রোঃ অক্ষয় কুমার দাশ জানান, কিছুদিন আগে ও একই ভাবে হামলা চালিয়ে মুছা আমার দোকান থেকে ১টি সাইকেল নিয়ে যায়, আজ (গতকাল)ও আমার দোকানের ৩টি সাইকেল নিয়ে গেছে। এর আগে প্রথমদিনের হামলার পর গত বৃহস্পতিবার থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। গত (১২ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার বিকালে মুছা মিয়া শ্রমিক নেতা হেলাল আহমদের বাড়ির সীমানায় বেড়া দিয়ে তার চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। এ বিষয়ে অভিযোগের প্রেক্ষিতে এসআই সুজিত চক্রবর্তীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে বেড়া অপসারনের জন্য বললে মুছা ও তার পরিবারের রোশানলে পড়ে পুলিশ। এক পর্যায়ে মুছাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করলে তার হুমকিতে ফিরে আসে পুলিশ। পরে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে পুনরায় মুছা’র বাড়িতে গিয়েও মুছা মিয়া ও তার পরিবারের সদস্যদের বাধার মুখে পুলিশ বিফল হয়ে ফিরে আসে। এক পর্যায়ে হেলাল আহমদের বাড়ি ঘরে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। ঘটনাটি ছালামতপুর এলাকাসহ নবীগঞ্জ শহরে আলোচনার ঝড় উঠে।