স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশী নির্যাতনে মারা যাওয়া রায়হান আহমদ (৩৪) হত্যা মামলার অভিযোগ গ্রহণের মাধ্যমে বিচারকাজ শুরু হয় গত বছর। এর পর শুরু হয় এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ। ইতিমধ্যেই নিহত রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার সাক্ষ্য দিয়েছেন। গতকাল বুধবার আসামীদের উপস্থিতিতে একজন কনস্টেবলের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। এসময় আসামী পক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবি ব্যারিস্টার প্রজল চৌধুরী বলেন, রায়হান হত্যাকা-ের সাথে সরাসরি জরিত এসআই মো. আকবর হোসেন ভূঁইয়া, কনস্টেবল হারুন অর রশিদ, এসআই মো. হাসানের আইনজীবীরা এই মামলার বিভিন্ন ধরণের সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করছেন। কয়েকজনের সাক্ষ্য গ্রহণ আগেই শেষ করা হয়েছে। তবে সেসময় আসামীরা আদালতে উপস্থিত ছেলেন না। সেজন্য ১৩ থেকে ৪০ নাম্বরা সাক্ষীদের পুনরায় সাক্ষ্যগ্রহণের আবেদন করেন আসামীপক্ষের আইনজীবীরা। তাই গতকাল আসামীদের উপস্থিতিতে একজনের সাক্ষ্যগ্রহণ কার হয়। মামলার কয়েকজনের সাক্ষ্যগ্রহণ এখনো শেষ হয়নি, সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হওয়ার পরে জেরা করা হবে। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।
নিহত রায়হানের মা সালমা বেগম অভিযোগ করেন, মামলার কার্যক্রম বিলম্বিত করা হচ্ছে। পুরাতন সাক্ষীদের আবার নতুন করে ডাকা হচ্ছে। নতুনদের সাক্ষ্যগ্রহণ কখন করা হবে। তবুও আমরা আশাবদী। দেরী হলেও ন্যায় বিচার পাব।
উল্লেখ, ২০২০ সালের ১০ অক্টোবর মধ্যরাতে সিলেট মহানগর পুলিশের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে রায়হান আহমদকে নির্যাতন করা হয়। ১১ অক্টোবর রায়হানের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে রায়হানের স্ত্রী মামলা করেন।
