সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ॥ বিশ্বনাথে শিশু হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি কর্র্তৃক বাদীকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ

35

স্টাফ রিপোর্টার :
বিশ্বনাথে শিশু হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি কর্তৃক বাদীকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন জানাইয়া নোয়াগাঁও গ্রামের তখলিছ আলীর পুত্র আবুল হাছান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বাড়ির সীমানা প্রাচীর নিয়ে প্রতিবেশী সমছু মিয়া ও রহিমুলের সঙ্গে তার বিরোধ চলছিল। এ কারণে তার সন্তান রেদুয়ান হোসেনকে (১১) অপহরণ করে হত্যার চেষ্টা করে তারা। জামিনে বের হয়ে এখন উল্টো তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে সমছু মিয়া ও রহিমুল। তিনি বলেন, তার পোল্ট্রি ফার্মের কর্মচারি জকিগঞ্জ উপজেলার শাখারবাজারের আব্দুল হকের ছেলে সাহেদ আহমদের (২৩) সাথে যোগাযোগ ছিল সমছু ও রহিমুলের। সাহেদকে দিয়ে চলতি বছরের ৪ মে তার ছেলে রেদুয়ান হোসেনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। সাহেদ রেদুয়ানকে গ্রামের জনৈক ফজলু মিয়ার বাড়ির বাউন্ডারির ভেতরে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলায় ছেদ মারলে রেদুয়ান হাত দিয়ে প্রতিহত করে। এতে তার হাতের ৪টি আঙ্গুল মারাত্মক জখম হয়। রেদুয়ানের চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনি দেখেন তার ছেলের দুই হাত দড়ি দিয়ে বাধছে এবং তাকে লাথি মারছে সাহেদ। তাকে দেখে সাহেদ পালিয়ে যায়। পরে তিনি ছেলেকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করলে পুলিশের কাছে হত্যাচেষ্টার স্বীকার করে সে।
আবুল হাছান বলেন, পুলিশের কাছে সাহেদ স্বীকার করেছে তার ছলে রেদুয়ানকে হত্যার জন্য সমছু ও রহিমুলের সাথে সাহেদের ৫০ হাজার টাকা চুক্তি হয়। তাদের কাছ থেকে সে ৫ হাজার টাকা অগ্রিম গ্রহণও করেছে। গত ৫ জুন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সাহেদ এ স্বীকারোক্তি দেয়। ইতোমধ্যে সাহেদ আহমদ, সামছু মিয়া ও রহিমুলকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন বিশ্বনাথ থানার এসআই কামরুল আহমেদ। এ মামলায় সাহেদ এখন কারাগারে রয়েছে। তবে সামছু ও রহিমুল উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে আছে। তিনি বলেন, জামিনে বের হয়ে এখন তারা ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে। প্রতিনিয়ত হয়রানি করছে তারা। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে মিথ্যা ও সাজানো মামলা দিচ্ছে। অন্য থানায় গিয়ে মামলা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। সামছু মিয়া তার ছেলে হীরণ, তোরণ, সাইদ মিয়া এবং রহিমুল তার ছেলে আসকার উদ্দিন, রেজা, মহিব উদ্দিন, ইমাদ উদ্দিনকে দিয়ে পথেঘাটে পেলে হয়রানি ও প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে।
আবুল হাছান আরো বলেন, জগন্নাথপুর থানার একটি ধর্ষণ মামলায় তাকে জড়ানো হয়েছে। তিনি দাবি করেন মামলার আসামি রিপন ও শায়েস্তাকে চিনেন না এমনকি ভিকটিমও তাকে চেনে না।
সংবাদ সম্মেলনে ছেলে রেদুয়ান হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার তৈয়ব আলী, তখলিছ আলী, নাজিম উদ্দিন, মাসুক মিয়া, মো. জাকারিয়া, আব্দুল আহাদ, নুর উদ্দিন ও ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।