কাজিরবাজার ডেস্ক :
হাজীরা ফিরতে শুরু করেছেন। বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় প্রথম ফিরতি হজ্ব ফ্লাইট নিরাপদে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে। শনিবার দুপুর আনুমানিক দেড়টার দিকে সৌদি এয়ারলাইন্সে (এসবি ৮০৮) ৩৩৫ হাজী নিয়ে ফ্লাইটটি অবতরণ করে। রাত সাড়ে আটটায় বিমানের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ঢাকায় অবতরণের সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়। সরকারী ব্যবস্থাপনায় প্রথম ফিরতি হজ্ব ফ্লাইট (বিজি ৩৫০২) স্থানীয় সময় এগারোটা ৩৪ মিনিটে জেদ্দা বিমানবন্দর থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে আসে।
বিমানবন্দর হজ্ব কন্ট্রোল রুম থেকে পাওয়া দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সৌদিয়ার ফ্লাইট অবতরণের ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই হাজীরা ইমিগ্রেশন ও লাগেজ সংগ্রহ শেষে বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। ফিরতি হজ্ব ফ্লাইট চলবে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। গত ১০ আগষ্ট পবিত্র হজ্ব অনুষ্ঠিত হয়। সরকারী ও বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২৬ হাজার ৯২৩ হজ্বযাত্রী পবিত্র হজ্ব পালন করেন।
এদিকে হজ্ব পালন শেষে জিয়ারতের উদ্দেশে মক্কা থেকে মদিনা যাওয়ার পথে ওয়াদি ফারা নামক স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৭ জন। এর মধ্যে সাতজনের অবস্থা গুরুতর। বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব (প্রেস) ফখরল ইসলাম জানান, ৩৫ জন বাংলাদেশী হাজীকে নিয়ে যাত্রীবাহী একটি বাস শুক্রবার রাত ১১টার দিকে ওয়াদি ফারা নামক স্থানে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় পড়ে। বাসটির চাকা ফেটে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলেও জানান তিনি। ঘটনাস্থলে এক মহিলা হাজী মৃত্যুবরণ করেন। দুর্ঘটনায় আহতের সংখ্যা ১৭। এর মধ্যে সাতজনের অবস্থা গুরুতর। আহতদের মধ্যে মদিনা কিং ফাহাদ হাসপাতালে আটজন, মিকাত হাসপাতালে চারজন, ওহুদ হাসপাতালে দুজন, সৌদি জার্মান হাসপাতালে দুজন এবং ইয়াতামা হাসপাতালে দুজন ভর্তি আছেন। নিহত ও আহতদের পরিচয় জানা যায়নি। বাসটিতে থাকা ৩৫ হাজী স্কাই ট্রাভেলসের মাধ্যমে সৌদি আরবে আসেন।
এছাড়া পবিত্র হজ্ব পালন শেষে রোকেয়া বেগম (৭৭) নামে একজন বাংলাদেশী হজ্বযাত্রী ইন্তেকাল করেন। শুক্রবার পবিত্র মক্কা আল-মুকাররমায় মারা যান তিনি। মরহুমার পাসপোর্ট নম্বর ইএ ০২৬১৭৮৭। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার চান্দিনায়। এ নিয়ে চলতি বছর মোট ৭৭ জন হজযাত্রী/হাজী মৃত্যুবরণ করেন। তাদের মধ্যে পুুরুষ ৬৮ জন ও নারী নয়জন। এর মধ্যে মক্কায় ৬৯ জন, মদিনায় সাতজন ও জেদ্দায় একজন মারা যান।