স্টাফ রিপোর্টার :
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে ২০ দফা পেশ করেছে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। সোমবার দুপুর ১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়াতে এক সংবাদ সম্মেলনে দাবিগুলো পেশ করা হয়।
শাখা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে লিখিত বক্তব্য পেশ করেন সাধারণ সম্পাদক ইমরান খান। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সদস্য ও শাখা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সাঈদ আকন্দ, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সদস্য ও শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম সবুজ, সহ-সভাপতি মোস্তাকিম আহমেদ মুস্তাক, সিনিয়র ছাত্রলীগ নেতা মুশফিকুর রহমান জিয়া প্রমুখ।
২০ দফার মধ্যে রয়েছে- বিশ্ববিদ্যালয়কে সেশনজটমুক্ত করতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ, ক্যাফেটেরিয়া, ক্যান্টিন, ফুডকোর্ট, হলসমূহে সুলভমূল্যে মানসম্মত খাবারের ব্যবস্থা, সকল শ্রেণী কক্ষে ডিজিটাল যন্ত্রপাতি ও পর্যাপ্ত চেয়ার-টেবিল সরবরাহ করে যুগোপযোগী শ্রেণী কক্ষ গড়ে তোলা এবং লাইব্রেরিসমূহের আধুনিকীকরণ, মেডিকেল সেন্টারের আধুনিকীকরণসহ সার্বক্ষণিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা, শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে অথবা কিস্তিতে ল্যাপটপ প্রদান ও পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্রুতগতির ওয়াই-ফাই, সব শিক্ষার্থীদের জন্য উন্নত আবাসন ব্যবস্থা এবং সকল ছাত্রীদের জন্য বিশ্ববিদ্যলয় এলাকার ভিতর অতিদ্রুত হল নির্মাণ করতে হবে। ছাত্রীদের জন্য বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও দেশরতœ শেখ হাসিনার নামে হল নির্মাণ করতে হবে। ছাত্রদের জন্য শেখ রাসেল হল নির্মাণ করতে হবে, ইভটিজিংসহ সকল প্রকার নির্যাতন বন্ধের লক্ষ্যে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, আদিবাসী, প্রতিবন্ধী, দরিদ্র ও দুর্ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান, যথার্থ চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ ও শিক্ষা ব্যবস্থায় সমতা নিশ্চিত করতে হবে, সকল বিভাগে উন্নত গবেষণাগার স্থাপন, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের লক্ষ্যে দ্রুত সীমানা প্রাচীর নির্মাণ ও পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার ব্যবস্থা করতে হবে, ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য পর্যাপ্ত নিজস্ব পরিবহনের ব্যবস্থা, জরাজীর্ণ ভবনসমূহ অতিদ্রুত সংস্কারের আওতায়, ছাত্রদের তিন হলের মধ্যবর্তী মসজিদ দ্রুত সংস্কার করে সকলের নামাজ পড়ার ব্যবস্থা এবং ছাত্র-ছাত্রীদের হলগুলোতে স্বস্ব ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের জন্য প্রার্থনার সুব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে, মাদক প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, ভবনগুলোতে সার্বক্ষণিক সুপেয় পানি ও পয়:নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে হবে. বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার দোকানগুলোকে নির্দিষ্ট নিয়মের মধ্যে এনে সুশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারিদের জন্য উন্নত আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে, প্রশাসনিক সকল দায়িত্বে মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধে বিশ্বাসী যোগ্য শিক্ষকগণকে নিয়োগ দিতে হবে, উচ্চতর শিক্ষার জন্য বিদেশ গমনকারী যে সকল শিক্ষকের ছুটির মেয়াদ দীর্ঘদিন পূর্বেই শেষ হয়ে গিয়েছে তাদের পরিবর্তে মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধে বিশ্বাসী যোগ্য নতুন শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে, ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ করা।
