গোয়াইনঘাট থেকে সংবাদদাতা :
ঈদুল আযহাকে ঘিরে পর্যটকদের পদভারে মুখরিত গোয়াইনঘাট উপজেলার পর্যটন কেন্দ্র গুলোতে। ঈদ পরবর্তী দিন থেকেই পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে রয়েছে পর্যটকের উপচে পড়া ভিড়। ঈদুল আযহার ছুটি পেয়ে বাঙালি যেন ভ্রমণ উৎসবে মেতে উঠেছে। ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগি করতে কেউ সপরিবারে কেউবা আবার বন্ধু-বান্ধব সাথে নিয়ে ছুটে এসেছেন সীমান্ত জনপদ গোয়াইনঘাটের পর্যটন কেন্দ্র প্রকৃতি কন্যা জাফলং, বিছনাকান্দি, সোয়াম ফরেষ্ট রাতারগুল ও পান্তুমাইয়ের ঝর্ণাধারায়। কিন্তু বেহাল সড়ক আর টানা বৃষ্টির কারণে পর্যটকদের ভ্রমণ আনন্দে যেন খানিকটা ভাটা পড়েছে। সোমবার পরিদর্শনকালে দেখা যায়, গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে আর বেহাল সড়কের কাদাজল মাড়িয়ে কয়েক সহ¯্রাধিক পর্যটকের পদভারে মুখরিত হয়েছে পর্যটন কেন্দ্র জাফলংয়ে। জাফলংয়ের জিরো পয়েন্টে নুড়ি পাথর ও বালু কণার উপড় দিয়ে ভারত থেকে নেমে আসা পিয়াইন নদীর স্বচ্ছ জলধারায় অনেকেই জলকেলিতে মেতে উঠেছেন। তবে সব চেয়ে বেশি পর্যটকের সমাগম লক্ষ্য করা গেছে জাফলংয়ের মায়াবী ঝর্ণায়। মায়াবী ঝর্ণার স্বচ্ছ জলে গা ভিজিয়ে বাঁধ ভাঙ্গা উল্লাস করছেন পর্যটকরা। অনেকেই নিজের সাথে থাকা স্মার্ট ফোন দিয়ে ছবি তুলে ক্যামারাবন্দি করে রাখছেন প্রিয় মুহূর্তটি। অন্যদিকে জল আর পাথরের মিতালী পর্যটন কেন্দ্র বিছনাকান্দি ও সোয়াম ফরেস্ট রাতারগুলেও হাজারও পর্যটকের সমাগম লক্ষ্য করা গেছে।
গাজীপুর থেকে বন্ধুদের নিয়ে জাফলং ভ্রমণে এসেছেন ওয়াসিম মিয়া জাফলং ভ্রমণের অনুভূতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান ওপারে মেঘালয়ের সবুজ পাহাড়, পিয়াইনের স্বচ্ছ জল ও মায়াবী ঝর্ণা সব মিলিয়ে অনিন্দ্য সুন্দর এক দৃশ্য। যা আমাদের অনেক ভাল লেগেছে। কিন্তু অত্যান্ত দুঃখ জনক ব্যাপার হলো এত সুন্দর একটি পর্যটন কেন্দ্রের যাতায়ত ব্যবস্থা এতই নাজুক যা বলা বাহুল্য। এই বেহাল সড়কের কথা মনে হলে ভ্রমণের আনন্দটাই যেন ম্লান হয়ে যায়।