মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হাওয়া বইছে চায়ের রাজধানীখ্যাত পর্যটন জেলা মৌলভীবাজারে।
এ জেলার চারটি সংসদীয় (২৩৫, ২৩৬, ২৩৭, ২৩৮) আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকবে প্রধান দুই দল আওয়ামীলীগ ও বিএনপি।
এ ছাড়াও জাতীয় পার্টি কিছু আসনে প্রার্থী দেবে। দুই দলেই রয়েছেনে একাধিক প্রার্থী। ইতিমধ্যে মনোনয়ন পেতে শুরু হয়েছে দৌড়ঝাঁপ। অনকেই কেন্দ্রের সিনিয়র নেতাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেনে।
গত রমজানকে পুঁজি করে ইফতার পার্টি ও ঈদ-পরবর্তী পুনর্মিলনীর মাধ্যমে সম্ভাব্য অনেক প্রার্থীই চালিয়েছেন নির্বাচনী প্রচারণা। অনেকেই আবার ৬ মাসের দীর্ঘস্থায়ী অকাল বন্যায় হাওর এলাকার দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণের মাধ্যমে নিজ নিজ এলাকায় দৃষ্টি আর্কষণের চেষ্টা করেছেন। তবে এবার মৌলভীবাজারে প্রধান দুই দলেই বেশি তরুণ নেতার আগমন ঘটেছে। তারা একাদশ জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হতে তৎপরতা শুরু করেছেন।
তৃণমূল পর্যায়ে মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র ও সাবেক জেলা যুবলীগের সভাপতি মোঃ ফজলুর রহমান জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছেন। পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্থানীয় আওয়মীলীগ ও সাধারণ মানুষের বক্তব্য আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার ও রাজনগর আসনে আওয়মীলীগ তাকে মনোনয়ন দিলে বিজয় নিশ্চিত। তিনি মৌলীবাজার পৌরসভার উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত। উন্নয়ন ও সংষ্কার কাজে নিজের তদারকির কারণে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করছেন।
মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুর রহমান বাবুল নিজেকে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী উল্লেখ্য করে বলেন, আসন্ন বিগত দিনে তিনি দলীয় বিভিন্ন কর্মকান্ডে নিবেদিত প্রাণ হিসেবে কাজ করে গেছেন। এমনকি যুক্তরাজ্য প্রবাসী থাকার পরও বছরের পর বছর দেশে অবস্থান করে দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি আশাবাদী তাকেই মনোনয়ন দেয়া হবে।
মৌলভীবাজার-১ ॥ জুড়ী বড়লেখা : আওয়ামীলীগ থেকে ক্ষমতাশীন দলের বর্তমান সাংসদ ও জাতীয় সংসদের হুইপ মো. শাহাব উদ্দিন। বিএনপি থেকে দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী এবাদুর রহমান চৌধুরী, জুড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি নাসের উদ্দীন আহমেদ মিটু, যুবদলের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পদক শরিফুল হক সাজু, বিশিষ্ট সমাজসেবি ও ব্যবসায়ী জামায়াত নেতা মাওঃ আমিনুল ইসলাম।
মৌলভীবাজার-২ ॥ কুলাউড়া : আওয়ামীলীগ থেকে ডাকসুর সাবেক ভিপি ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক সংসদসদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ একেএম সফি আহমদ সলমান, বর্তমান আওয়ামীলীগের সাংসদ আব্দুল মতিন, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আতাউর রহমান শামীম, সাবেক পুলিশের এ আই জি সৈয়দ বজলুল করিম, ডা: রুকন উদ্দিন আহমদ, আওয়ামীলীগ নেতা ও উপজেলা চেয়ারম্যান আসম কামরুল ইসলাম, সিলেট মহানগর আওয়মীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, লন্ডন আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক কামাল হাসান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রেনু। বিএনপি থেকে দলের জেলা বিএনপির সহ সভাপতি আবেদ রাজা, সাবেক সাংসদ (সংস্কারপন্থী) এম এম শাহীন ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সৈয়দ কামরুজ্জামান জুবেদ। জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) থেকে নবাব আলী আব্বাস খান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম নেতা মাওঃ শাহ মাসুকুর রশীদ।
মৌলভীবাজার-৩ ॥ সদর- রাজনগর : মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র ও সাবেক জেলা যুবলীগের সভাপতি মোঃ ফজলুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুর রহমান বাবুল, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নেছার আহমদ, আওয়ামীলীগ থেকে বর্তমান সাংসদ সৈয়দা সায়রা মহসীন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন, সাবেক বৃটিশ কাউন্সিলার এমএ রহিম (সিআইপি), জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আব্দুল মালিক তরফদার সুয়েব, বিএনপি থেকে সাবেক সাংসদ এম নাসের রহমান, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র ফয়জুল করিম ময়ুূন, জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়রম্যান মিজানুর রহমান মিজান, কেন্দ্রীয় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মহিদুর রহমান। জাতীয় পার্টি জেলা সভাপতি সৈয়দ শাহাব উদ্দিন আহমদ, জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নূরুল হক, খেলাফত মজলিসের জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওঃ আহমদ বেলাল।
মৌলভীবাজার-৪ ॥ কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল : আওয়ামীলীগ থেকে বর্তমান সাংসদ ও সাবেক চীফ হুইপ আব্দুস শহীদ, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অধ্যাপক রফিকুর রহমান। বিএনপি থেকে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মুজিবুর রহমান।