গোলাপগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
গোলাপগঞ্জের সাড়ে ৩ লাখ মানুষ ভয়াবহ চিকুনগুনিয়া আতঙ্কে। স্থানীয় ডাক্তারা বলছেন চিকনগুনিয়া নয় ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত গোটা গোলাপগঞ্জবাসী, এতে আতঙ্কেরে কিছু নেই। টানা একমাস থেকে চিকনগুনিয়া নামক ভাইরাস জ্বর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে উপজেলার প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মানুষের মধ্যে। এ বছরের ১৫ জুন থেকে সিলেটসহ গোলাপগঞ্জ উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন একটি পৌরসভায়ও এই ভাইরাস জনিত জ্বর ছড়িয়ে পড়ে। প্যারাসিটামল, কাশি সিরাপ, এ্যান্টি বায়োটিক ও স্যালাইনই এই জ্বরের শেষ ভরসা। সরেজমিন উপজেলার গোলাপগঞ্জ বাজার, ঢাকাদক্ষিণ, ভাদেশ্বর, হেতিমগঞ্জ বাজারসহ বিভিন্ন বাজারের ডাক্তারদের চেম্বার ঘুরে দেখা যায় জ্বর আক্রান্ত রোগীতের উপড়ে পড়া ভীড়। ডাক্তারদের চেম্বারে জায়গা না পেয়ে রোগীরা চেম্বারের বারান্দায় জ্বর নিয়ে কাতরাচ্ছে। গোলাপগঞ্জ আহমদ খাঁন রোর্ডে অবস্থিত ডাক্তার বিজিৎ চন্দ্র দাসের চেম্বারে আসা আনা মিয়া নামে এক রোগীর সাথে আলাপ করা হলে সে জানায় পরিবারের ছোট বড় ৮ সদস্যদের মধ্যে ৫ জনই এই ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। চিকিৎসকদের পরামর্শে ঔষধ সেবন করার পর এই জ্বরটি কিছু সারলেও সপ্তাহ খানেক পর আবারও এই প্রকট আকার ধারণ করেছে। কেউই কোন কিছু খেতে পারছে না। ডাক্তারের চেম্বারেও প্রচন্ড ভীড়। গতকাল বুধবার উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ বাজারে অবস্থিত ডাক্তার বি কে কর্মকারের চেম্বারে জ্বর আক্তান্ত রোগীদের ভীড়ের একই দৃশ্য দেখা যায়। গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তৌহিদের সাথে আলাপ করা হলে তিনি জানান, চিকুনগুনিয়া জ্বর বলতে কিছু নেই। এটা আসলে আবহাওয়া পরিবর্তনের জ্বর। এই জ্বর পরীক্ষার মেশিন গোলাপগঞ্জ বা আমাদের সিলেটে নেই। এটি শুধু ঢাকায় আছে। এখন পর্যন্ত আমার উপজেলায় চিকুনগুনিয়া জ্বরের কোন তথ্য আমার কাছে আসেনি। চিকুনগুনিয়া জ্বরটি সিলেটের বাহিরে রয়েছে। তিনি আরো বলেন, একটানা তিনদিন লং জানিং করলে এই জ্বরের কবলে পড়তে পারেন। ভাইরাস জ্বরে সাধারণত সর্দি, কাশি, জ্বর, ডায়রিয়া ও শরীর অস্তির হয়ে থাকে। ভাইরাস জ্বরের প্রাথমিক চিকিৎসার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্যারাসিটামল, কাশি সিরাপ, এ্যান্টি বায়োটিক ও স্যালাইন খেতে পারেন এবং জ্বরের মাত্রা বেশি হলে ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দেন।