সীমানা নির্ধারণ নিয়ে জটিলতা ॥ গোলাপগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা

39

গোলাপগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
সীমানা নির্ধারণের জটিলতা নিরসন না হওয়ায় গোলাপগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা  দিয়েছে। শেষ পর্যন্ত এ পৌরসভা নির্বাচন হবে কি না এ নিয়ে প্রার্থী ও ভোটাররা পড়েছেন দ্বিধাদ্বন্দ্বে। ভোটারদের প্রশ্ন শেষ পর্যন্ত গোলাপগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচন হবেতো? দীর্ঘদিন থেকে পৌরসভার সীমানা সংক্রান্ত রিটের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন কোন সুরাহা না করায় এমন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে পৌরসভার প্রার্থী  ও ভোটারদের মাঝে।  আগামী সপ্তাহে দেশের অন্যান্য পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। কিন্ত গোলাপগঞ্জ পৌরসভা ছাড়াও দেশের ৯টি পৌরসভার জটিলতা নিরসন এখনো শেষ হয়নি। এদিকে নির্বাচনকে ঘিরে পৌর এলাকার সম্ভাব্য মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা গণসংযোগসহ প্রচার প্রচারণা দীর্ঘদিন থেকে অব্যাহত রেখেছেন জোরালো ভাবে। প্রচার-প্রচারণা নিয়ে রীতিমতো চলছে প্রতিযোগিতা। গতকাল জাতীয় একটি দৈনিকে নির্বাচন সংক্রান্ত একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে সীমানা জটিলতায় গোলাপগঞ্জ পৌরসভাসহ ৯টি পৌরসভার নির্বাচন না হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। এ খবরে নির্বাচনের মাঠে থাকা মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা পড়েছেন বিপাকে। প্রার্থীদের কাছে ভোটাররা জানতে চান শেষ পর্যন্ত কি নির্বাচন হবে কি-না। এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জাকারিয়া আহমদ পাপলুর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি কাজিরবাজাকে বলেন, এ বিষয়ে আমিও শুনেছি তবে এর চেয়ে বেশি কিছুই জানি না। বিএনপি সমর্থিত সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী শাহীন বলেন, পৌরসভার নির্বাচন হতে পারে নাও হতে পারে। তবে না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি বলে আমি মনে করি। যুক্তরাজ্য যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র প্রার্থী আমিনুল ইসলাম রাবেল বলেন, নির্বাচন হবেই। কারণ পৌরসভার মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ জহির উদ্দিন সেলিম বলেন, আমাদের গোলাপগঞ্জ পৌর নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নির্বাচনকে ঘিরে গোলাপগঞ্জ ও পৌর এলাকায় প্রার্থী ও ভোটারদের মাঝে কৌতুহলের শেষ নেই। শেষ পর্যন্ত পৌরসভার নির্বাচন নিয়ে কি হয় তা দেখার অধির আগ্রহে পৌরবাসী।