অভিভাবক পরিষদের সংবাদ সম্মেলন ॥ এফআইভিডিবি’র বিদ্যালয়গুলো বন্ধ হওয়ার উপক্রম ॥ সরকারি অনুদানের আবেদন

50

স্টাফ রিপোর্টার :
এফআইভিডিবি পরিচালিত সিলেট বিভাগের ৩১৩টি সহ দেশের মোট ৩৯৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় অর্থের অভাবে বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রাথমিক বিদ্যালয় অভিভাবক পরিষদ। ফলে প্রায় ৫০ হাজার কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত এবং দেড় হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা বেকার হয়ে পড়েছেন। এpress con pic 25.03.15 সকল শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা এক অজানা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। গতকাল বুধবার সিলেট প্রেসক্লাবে এফআইভিডিবি প্রাথমিক বিদ্যালয় অভিভাবক সিলেট বিভাগীয় পরিষদের উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পরিষদের সভাপতি মো. শাহজাহান আহমদ।
লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয় সমগ্র বাংলাদেশে ১৯৮৫ সাল থেকে পর্যায়ক্রমে এফআইভিডিবি ৩৯৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা  করে। যার সিংহভাগই সিলেট বিভাগে স্থাপিত। কিন্তু হঠাৎ করে কোনো ধরণের নির্দেশনা ছাড়াই ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর একটি পত্রের মাধ্যমে বিদ্যালয় পরিচালনা ও অনুদান প্রদানে অক্ষমতা প্রকাশ করে এফআইভিডিবি কর্তৃপক্ষ। বন্ধ করে দেয়া হয় শিক্ষকদের বেতন-ভাতা এবং শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সামগ্রী। অত্যন্ত করুণ ও অমানবিকভাবে এফআইভিডিবি কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে হতাশ হয়ে পড়েন অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী। তাদের এমন কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান অভিভাবক পরিষদ।
লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে যে ভূমি দানপত্র করা হয় উক্ত দলিলে উল্লেখ করা হয়েছিল এফআইভিডিবি কোনো কারণে বিদ্যালয় পরিচালনায় ব্যর্থ হলে এর পূর্বে সরকার কিংবা অন্য কোনো এনজিও সংস্থার নিকট দায়িত্বভার হস্তান্তর করবে। কিন্তু উক্ত চুক্তি ভঙ্গ করে আকস্মিক এ সিদ্ধান্তের কারণে বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষ, অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকমন্ডলী বিপাকে পড়েছেন। শিক্ষা কর্মসূচি চালিয়ে নেয়ার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ না করে প্রকল্পটি বন্ধ করে দিয়ে কর্তৃপক্ষ প্রতারণা করেছেন। ইতোমধ্যে বেশ কিছু বিদ্যালয় পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। বাকিগুলোও বন্ধ হওয়ার পথে। প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় পড়ালেখার গুণগত মান অক্ষুণœ রেখে বিগত দিনে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল করেছে। এ সকল কোমলমতি মেধাবীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সরকার এবং প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে ৫০ হাজার শিক্ষার্থীরে শিক্ষা জীবন ধ্বংস হয়ে যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে অভিভাবক পরিষদ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অভিভাবক পরিষদের সিনিয়র সহসভাপতি আজিজুর রহমান আজিজ, সহ সভাপতি আব্দুল মন্নান সরকার, আব্দুল জব্বার খোকন, হাজী মকদ্দুস আলাী, আকরাম আলী, সৈয়দ আব্দুল কুদ্দুস, সেক্রেটারী এম আর লোকমান, সহ সেক্রেটারী আব্দুল মুমিন, শহীদ আহমদ কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক এমদাদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ ও এমদাদুল হক মিলনসহ কমিটির সদস্যবৃন্দ।