আফ্রিকার কষ্টার্জিত জয়

22

205853.3_54116স্পোর্টস ডেস্ক :
দক্ষিণ অফ্রিকাকে বলা হচ্ছে এবারের আসরের হট ফেভারিট। এই কথার সঙ্গে সেই পুরনো কথাও বলা হয়েছে-চোকার অপবাদ আবার আসবে না তো? প্রথম ম্যাচে তেমন কিছু না ঘটলেও দুর্বল জিম্বাবুয়ে তাদের কাঁপিয়ে দিয়েছে। মাসাকাদজার অনবদ্য ৮০ রান এক পর্যায়ে চোখ রাঙাচ্ছিল আমলাদের। তবে মাসাকাদজার বিদায়ের পর তাসের ঘরে পরিণত হয় জিম্বাবুয়ে। শেষ পর্যন্ত তাদের ৬২ রানের হার মানতে হয়।
ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভাল না হলেও পঞ্চম উইকেটের বিশ্ব রেকর্ড গড়া জুটিতে স্বস্তির ইনিংস পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ডেভিড মিলার এবং জেপি ডুমিনির ২৫৬ রানের রেকর্ড জুটিতে ৩৩৯ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় তারা। পঞ্চম উইকেটে এটি বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রানের জুটি। এর আগেরটি ছিল ১৯৯৯ সালে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৪৮ রান করেন নিউজিল্যান্ডের রজার টুইস এবং ক্রিন্স কেইর্নস
এদিন তৃতীয় ওভারের শেষ বলে আফ্রিকার ডি কক দলীয় ১০ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন। প্রথম উইকেট শিকারি চাতারা। ক্যারিয়ার সেরা ফর্মে থাকা আমলাও অবাক করেন। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে পানিয়াঙ্গারার দখলে গেছেন তিনি। ২৬ বল খেলে তিনি করেছেন ১১ রান।
দুই উইকেট হারিয়ে এবি ডি ভিলিয়ার্স এবং ডু প্লেসিস খোলসের ভেতর ঢুকে যান। কিন্তু দলের স্কোরটাকে ৬৭’র বেশি করতে পারেননি এই জুটি। ৩২ বল খেলে ২৪ রানের মাথায় সাজ ঘরের পথ ধরেন ডু প্লেসিস। চিগুম্বুরার দারুণ এক ডেলিভারিতে টেইলরের হাতে পড়েন এই আফ্রিকান। বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান ভিলিয়ার্সও সতীর্থদের পথ ধরেন ২০ তম ওভারের দ্বিতীয় বলে। কামুনগোজির বলে উড়িয়ে মারতে যেয়ে বাউন্ডারি লাইনে ইরভিনের চোখ জুড়ানো ক্যাচে বিদায় নেন বিশ্বের দ্রুততম শতকের মালিক। বল প্রায় ছয় হয়ে যাচ্ছিল। ইরভিন ক্যাচ ধরে সীমানা অতিক্রম করেও ফেলেন। কিন্তু তার আগে বল মাঠের ভেতর ছুঁড়ে মারেন। তারপর আবার ভেতরে এসে বল তালুবন্দী করেন।
শুরুর এই ধাক্কা সামলে প্রতিরোধ গড়েন মিলার-ডুমিনি।মিলার ৯২ বলে খেলেন ১৩৮ রানের অনবদ্য ইনিংস। মিলারকে দারুণ সঙ্গ দিয়ে যান জেপি ডুমিনি। ১০০ বলে ১১৫ রানের শৈল্পিক ইনিংস খেলেন এই ব্যাটসম্যান।
বিশাল স্কোরের পথে হাঁটতে যেয়ে শুরুটা ভালই করে জিম্বাবুয়ে। মাসাকাদজা আউট হওয়ার আগে করেন ৮০ রান। ৩২ তম ওভারের শেষ বলে আউট হন তিনি। তখন জিম্বাবুয়ে ১৯১/৩। টেইলর করেছেন ৪০। এছাড়া জিম্বাবুয়ের ২৭৭ রানের ভেতর চিগুম্বুরার অবদান ৬৪।