অবরোধের ১১ দিন ॥ গাড়ী ভাংচুর, ৩ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

37

স্টাফ রিপোর্টার :
বিএনপি চেয়ারপারসন ও ২০ দলীয় জোট নেত্রী খালেদা জিয়ার ডাকা অনির্দিষ্টকালের অবরোধ কর্মসূচি সফলে (১১ দিনের অবরোধে) গতকাল শুক্রবার সকালে নগরীর টিভি গেইট (বক্ষব্যাধি হাসপাতাল গেইট) এলাকায় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকর্মীরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে অবরোধকারী নেতাকর্মীরা দৌঁড়ে পালিয়ে যান। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শহরতলীর টুকেরবাজার তেমুখীতে মিছিল করেছে ছাত্রদল। মিছিল শেষ হওয়ার আগেই পুলিশ ধাওয়া করলে নেতাকর্মীরা পালিয়ে যান। এদিকে, অবরোধে নাশকতা এড়াতে সিলেট নগরীতে ৩ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে নগরীতে বিজিবি সদস্যদের টহল দেয়া শুরু করেছে।
গতকাল শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে অবরোধ চলাকালে নগরীর লেচুবাগানে দুষ্কৃতিকারীদের হামলায় ২টি ট্রাক ও এক সিএনজি অটোরিক্সা ভাংচুরের করেছে। লেচুবাগন এলাকায় হঠাৎ করে ছাত্রদলের ব্যানারে কতিপয় যুবক  রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহনে হামলা চালাতে থাকে। এ কারণে এলাকার লোকজনের মধ্যে আতংক দেখা দেয়। কয়েকটি গাড়ি ভাংচুরের পর ঐ যুবকেরাও চলে যায়।
গতকাল শুক্রবার সকালেও জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, আম্বরখানাসহ বিভিন্ন স্থানে বিজিবির টহল দিতে দেখা গেছে। চলমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বিজিবির টহল অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোঃ শহিদুল ইসলাম।
তিনি জানান, অবরোধের শুরু থেকে সিলেটে ৩ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হয়। তবে, গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে তারা দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন। চলমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বিজিবি মাঠে থাকবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
একটি সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার সকালে সিলেটে হরতাল চলাকালে নগরীর শাহী ঈদগাহ এলাকায় কোতয়ালী থানার ওসি মোঃ আসাদুজ্জামানের গাড়ী লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে জামায়াত-শিবিরকর্মীরা। এ পরিস্থিতিতে সিলেটে নগরীতে বিজিবি মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হয়। এর আগে গত সোমবার জননিরাপত্তা রক্ষায় সারাদেশের ২১ জেলায় বিজিবি মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।