সারা দেশে বিজিবি মোতায়েন হচ্ছে, প্রয়োজনে গুলি

42

untitl_50293_0কাজিরবাজার ডেস্ক :
বিজিবি মানুষ হত্যা করতে চায় না। সে ধরনের নির্দেশও বিজিবির উপর নেই। তবে মানুষ হত্যা করতে দেখলে এবং নিজে আক্রান্ত হলে জীবন বাঁচানোর জন যে কোন আক্রমণ প্রতিহত করবে। আক্রান্ত হলে সে নিজের অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে। এটা তার অধিকার। মনে রাখতে হবে বিজিবির হাতে থাকা সব অস্ত্রই প্রাণঘাতী। গতকাল পিলখানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ। তিনি বলেন, একজন ব্যক্তি যদি পেট্রোল বোমা ফাটায়, তাহলে ৫ জন লোক নিহত হতে পারে। এ দৃশ্য কোন বিজিবি সদস্যের নজরে এলে ওই বোমাবহনকারীকে ‘ক্যাজুয়ালটি’ করা তার দায়িত্ব। সাধারণ মানুষের জীবন বাঁচাতে কোন বোমাবাজকে গুলি করতে বিজিবি কুণ্ঠিত হবে না। মহাপরিচালক বলেন, ঢাকার বাইরে ৩৫টি জেলা থেকে বিজিবি চাওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ১৭টি জেলায় বিজিবি সদস্যরা সার্বক্ষণিক টহলে রয়েছেন। প্রতিদিন ৮০-৮৫ প্লাটুন বিজিবি কাজ করছে। বাকি জেলাগুলোর জন্য আরও ৭০-৭৫ প্লাটুন বিজিবি প্রস্তুত রাখা হয়েছে, যাতে প্রয়োজন হলেই তারা যেতে পারেন। বিজিবি সদস্যরা কতদিন এভাবে দায়িত্ব পালন করবেন, জানতে চাইলে মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, ২০১৩ সালের কথা তো আপনাদের মনে আছে, সুতরাং আমরা মাসের পর মাস, যতদিন প্রয়োজন, সিভিল প্রশাসনকে সহায়তা করে যাবো। তিনি বলেন, পরিস্থিতি দিন দিন উন্নতি হচ্ছে। আমি প্রতিদিন প্রতিবেদন পাচ্ছি। দু’-একটা রুটে সমস্যা আছে। তবে ঠিক হয়ে যাবে। তিনি বলেন, সমপ্রতি বিভিন্ন সময়ে বিজিবির গাড়ির পাশে ককটেল বিস্ফোরণের মতো ৩-৪টি ঘটনা ঘটলেও, তাতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। অবরোধের কারণে রাস্তায় যান চলাচলেও নিরাপত্তা দিচ্ছে বিজিবি। বুধবার রাতেও বিজিবির পাহারায় ৩৫ হাজার গাড়ি দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করেছে বলে জানান তিনি। এক প্রশ্নের জবাবে বিজিবি প্রধান বলেন, সীমান্ত রক্ষা আমাদের প্রাইম কাজ। কিন্তু জনগণের জানমাল রক্ষা করা, সিভিল প্রশাসনকে সহায়তা দেয়া- এসব আমাদের সেকেন্ডারি কাজ। সুতারাং এ কাজে কোন সমস্যা হচ্ছে না।