আইন শৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে কমলগঞ্জে উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় চরম উত্তেজনা

88

পিন্টু দেবনাথ, কমলগঞ্জ থেকে :
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ জনপদ শমসেরনগর বাজারের আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতির বক্তব্য নিয়ে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করে। গতকাল সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত আইন শৃঙ্খলা কমিটির এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবার কমলগঞ্জ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আছগর আলীর সভাপতিত্বে মাসিক আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান। সভার শুরুতে সাম্প্রতিক কমলগঞ্জ উপজেলায় চুরি ডাকাতি বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা বক্তব্য প্রদান করেন। এক পর্যায়ে শমশেরনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর সম্প্রতি এ এলাকার আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতি নিয়ে বক্তব্য রাখেন। আব্দুর গফুর আইন শৃঙ্খলার অবনতিতে দায়ী বখাটে ও তাদের পিছনের শক্তিদাতার নাম উল্লেখ করেন। এর প্রতিক্রিয়ায় কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পারভীন আক্তার (লিলি) উত্তেজিত হয়ে তার বক্তব্যে বলেন, আসলে সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর নাম ভাঙ্গিয়ে আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটাচ্ছেন। তিনি যাদেরকে আইন শৃঙ্খলার অবনতিতে বখাটে চিহ্নিত দায়ী করছেন তাদের সাথে উনার পূর্ব শত্র“তা রয়েছে।
সভায় উপস্থিত থাকা শমসেরনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুয়েল আহমদ সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল গফুরের বক্তব্যের সাথে সমর্থন জানিয়ে বলেন, আসলে চিহ্নিত কতিপয় বখাটেদের কারণে আজ শমসেরনগরে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। আব্দুল গফুর বলেন, তিনি সর্বদাই অন্যায় কাজের প্রতিবাদী বলে অনেক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। সম্প্রতি শমসেরনগরে যারা আইন শৃঙ্খলার অবনতির জন্য দায়ী তারা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের আত্মীয়। এ অভিযোগের সত্যতা পুলিশি রেকর্ডভুক্ত।
শমসেরনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর তার বক্তব্যের এক পর্যায়ে ইউপি চেয়ারম্যানদের চোর বলে বক্তব্য রাখলে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পারভীন আক্তার (লিলি) এর তীব্র প্রতিবাদ করে বলেন, আব্দুল গফুর সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে এলাকায়  যা খুশি তা করছেন। তিনি ইউপি চেয়ারম্যান থাকাকালীন সার চুরির মামলায় জেল খেটেছেন। এ সময় উপস্থিত ৪ জন ইউপি চেয়ারম্যান ওয়াক আউট করতে চাইলে সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর তার বক্তব্যের জন্য দু:খ প্রকাশ করে বক্তব্য প্রত্যাহার করেন।
এ বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আছগর আলী বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল গফুরের বক্তব্য নিয়ে সভা কিছুটা উত্তপ্ত হয়েছিল। সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে মাত্র।