অছাত্র ও নিষ্ক্রিয়রা আবারো ছাত্রদলের গুরুপূর্ণ পদ পেতে তৎপর ॥ কানাইঘাট ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠনের কাজ থমকে আছে

35

কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
দীর্ঘ ১২ বছর পর কানাইঘাট উপজেলা ও পৌর ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠন উপলক্ষে গত ১৪ ডিসেম্বর উপজেলা ছাত্রদলের বহু কাক্সিক্ষত কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সম্মেলনে উপস্থিত জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সাঈদ আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক রাহাত চৌধুরী মুন্না সহ জেলা ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ দলের ত্যাগী, পরীক্ষিত এবং নিয়মিত ছাত্রদের দিয়ে শীঘ্রই উপজেলা ও পৌরএবং কানাইঘাট ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের কমিটি উপহার দিবেন এমন ঘোষণা দেন। কিন্তু কমিটি গঠনের কাজ বিলম্বিত হওয়ায় ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে নানা প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ১৪ ডিসেম্বর ছাত্রদলের সম্মেলন সম্পন্ন হলেও উপজেলা বিএনপির কিছু নেতা তাদের পছন্দদের কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে আনার জন্য অযাচিত হস্তক্ষেপ করার কারনে অদ্যাবধি পর্যন্ত জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কানাইঘাট ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠন নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। যার কারণে ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠনের কাজ ঝুলে আছে। উপজেলা ও পৌর এবং ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রদলের কমিটিতে স্থান পাওয়ার জন্য জেলা ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দের কাছে ধরনা দিচ্ছেন ছাত্রদলের পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীরা। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রদলকে এক প্লাটফর্মে ঐক্যবদ্ধ না করে বিএনপির কিছু নেতা নিজেদের ফায়দা হাসিলের জন্য এ সংগঠনটির মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল জিয়ে রাখার জন্য বিতর্কিত এবং যারা কখনো বিগত দিনে সরকার বিরোধী আন্দোলনে রাজপথে ছিল না এমনকি নিয়মিত ছাত্র নয় তাদের কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে দেওয়ার জন্য জেলা ছাত্রদল নেতৃবৃন্দের নানা ভাবে চাপ প্রয়োগ করছেন। যার কারণে ছাত্রদলের কমিটির কাজ মাঝ পথে থমকে আছে। ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে কথা হলে তারা জানান, বিগত দিনে আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে অসংখ্য ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন মামলার আসামী হয়েছেন, অনেকে জেলও কেটেছেন। কিন্তু যারা অতিতে ছাত্রদলের কোন সাংগঠনিক কার্যক্রমে সম্পৃক্ত ছিলনা ও রাজপথে দেখা যায় নি তারা বর্তমানে কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদ ভাগিয়ে নেওয়ার জন্য বিএনপির কিছু নেতাদের আশির্বাদ পুষ্ট হয়ে জোর লভিং চালাচ্ছে। তৃণমূল পর্যায়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, অছাত্র এবং বিগত দিনে যারা ছাত্রদলের কোন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেননি, ব্যবসা বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত ছিল। এমন কাউকে কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হলে ছাত্রদলের নেতৃত্ব প্রশ্নের সম্মুখীন হবে এবং সাংগঠনিক ভাবে ছাত্রদল আগামী দিনের আন্দোলন সংগ্রামে কোন ধরনের ভূমিকা পালন করতে পারবে না। জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সাঈদ আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক রাহাত চৌধুরী মুন্নার প্রতি ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা দাবী জানিয়েছেন সকল প্রকার গ্র“পিং, লভিংয়ের ঊর্ধ্বে উঠে  উপজেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির সু-পরামর্শে পরীক্ষিত ত্যাগী ও নির্যাতিত ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মূল্যায়নের মাধ্যমে উপজেলা ও পৌর এবং কানাইঘাট ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রদলের কমিটি উপহার দেওয়ার দাবী জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির সভাপতি চাকসুর সাবেক আপ্যায়ন সম্পাদক মামুনুর রশিদ মামুন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ফরিদ আহমদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন ছাত্রদল হচ্ছে একটি বৃহত্তম ছাত্র সংগঠন। বিএনপি’র যেকোন কর্মসূচীতে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ভ্যানগার্ডের দায়িত্ব পালন করে থাকেন। ছাত্রদলকে একই প্লাটফর্মে ঐক্যবদ্ধ করার মাধ্যমে বিগত দিনে যারা আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে যারা অসংখ্য বার মামলা, হামলা, নির্যাতন, নিপীড়ন ও কারাবরনের শিকার হয়েছিলেন, নতুন কমিটিতে তাদের যথাযথ মূল্যায়ন জেলা ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ করবেন এমন প্রত্যাশা বিএনপির নেতৃবৃন্দের।