যথাযোগ্য মর্যাদায় সিলেটে মহান বিজয় দিবস পালিত অযুত কণ্ঠের জাতীয় সঙ্গীতে দেশকে ভালোবাসার শপথ

127

IMG_7916স্টাফ রিপোর্টার :
সারা দেশের মতো সিলেটেও যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস। হাজার হাজার মানুষ এক সাথে জাতীয় সংগীত গেয়ে শপথ নিয়েছেন দেশকে ভালোবাসার।
‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’-১৬ ডিসেম্বর ঠিক ৪ টা ৩১ মিনিটে বিশ্ব বাঙালির সাথে সিলেটবাসীও গেয়ে উঠলো প্রাণের জাতীয় সঙ্গীত। পাকিস্তানী বাহিনীর আত্মসমর্পণের এই মহেন্দ্রক্ষণে জাতীয় সঙ্গীতে কণ্ঠ মেলায় অযুত জনতা। সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সোনার বাংলা গেয়ে আবারও শপথ নেওয়া হয় দেশকে ভালোবাসার। মৌলবাদ ও যুদ্ধাপরাধীমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার।
মঙ্গলবার বিজয় দিবসের বিকেলে বিজয় দিবস উদযান কমিটি, সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ প্রাঙ্গণে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীতের আয়োজন করে। হাজার হাজার মানুষ জাতীয় সঙ্গীতে অংশ নেয়।
১৯৭১ এর ১৬ ডিসেম্বরে বিকেল ৪ টা ৩১ মিনিটে আত্মসমর্পণ করেছিলো পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। অভুধ্যয় ঘটেছিলো বাংলাদেশ নামক একটি নতুন রাষ্ট্রের। বিজয়ের মহেন্দক্ষণটিকে স্মরণীয় করে রাখতে আয়োজন করা হয় ‘বিশ্বজুড়ে সোনার বাংলা উৎসব’। এর অংশ হিসেবে সিলেটেও আয়োজন করা হয় সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীতের।
জাতীয় সঙ্গীতে অংশ নেওয়ার জন্য বিকেল ৪ টা থেকেই শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে জড়ো হতে শুরু করেন হাজারো মানুষ। নারী-পুরুষ-শিশু নির্বিশেষে সকলেই সমবেত হন জাতীয় সঙ্গীতের আয়োজনে অংশ নিতে।
ঠিক সাড়ে ৪ টায় উপস্থিত সকলে হাতে তাত ধরে দাঁড়িয়ে পড়েন। ৪ টা ৩১ মিনিটে সকলে সমস্বরে গেয়ে উঠেন প্রাণের জাতীয় সঙ্গীত ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি।’ সিলেটের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনও জাতীয় সঙ্গীতের আয়োজনে শরীক হয়।
জাতীয় সঙ্গীতের পর বিজয় দিবস উদযাপন কমিটি, সিলেটের সদস্য সচিব দেবাশীষ দেবু’র সঞ্চালনায় সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বিজয় দিবস উদযাপন কমিটি, সিলেটের আহ্বায়ক ব্যারিস্টার আরশ আলী ও কবি শুভেন্দু ইমাম।
এদিকে বিজয় দিবসে সিলেটে পালিত বিভিন্ন সংগঠনের কর্মসূচি :
সিলেটে জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদ : সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মো. সাজ্জাদুল হাসান বলেছেন, পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠির শাসন-শোষণের হিংস্র কবল থেকে দেশমাতৃকাকে মুক্ত করতে ১৯৭১ সালে যেসব মুক্তিযোদ্ধা জীবনবাজি রেখেছিলেন সেসব মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকেই মায়ের বুকে ফিরে আসন নি। আর কোনদিন তারা ফিরে আসবেও না। আজকের এ দিবসের আলাচনায় জাতির সেই সব শ্রেষ্ঠ সন্তানদের জানাই নিম্র শ্রদ্ধা। তিনি বলেন, পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে পরাস্ত করে যারা স্বাধীন বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা ছিনিয়ে এনে ঘরে ফিরেছেন তাদেরকে জাতি আজ জ্ঞাপন করে অকুণ্ঠচিত্তে শ্রদ্ধা ও সম্মান। সাজ্জাদুল হাসান মঙ্গলবার সিলেট জেলা পুলিশ লাইন মিলনায়তনে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। সিলেট জেলা পরিষদের ব্যবস্থাপনায় ও জেলা প্রশানের আয়োজনে জেলা ও মহানগর ইউনিট কমান্ডের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে এ সভার আয়োজন করা হয়।
সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেট রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমান পিপিএম, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ প্রশাসক আব্দুজ জহির চৌধুরী সুফিয়ান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাবেক এমপি সৈয়দা জেবুন নেছা হক, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীর প্রতীক সিরাজুল ইসলাম,সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ আশরাফ আলী, মুক্তিযোদ্ধা সিলেট জেলা ইউনিট কমান্ডের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা বাদশাহ মিয়া, সমাজসেবা সেবা অধিদপ্তর সিলেট এর উপরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ও জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মতিউর রহমান।
সম্মাননার জবাবে মুক্তিযোদ্ধা সিলেট জেলা সংসদ এর  পক্ষে বক্তব্য রাখেন জেলা ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত চক্রবতী জুয়েল, সিলেট মহানগর কমান্ডের পক্ষে বক্তব্য রাখেন মহানগর কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ভবতোষ রায় বর্মন রানা। সভায় সিলেট জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদের সর্বস্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীগন উপস্থিত ছিলেন।
সভায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট জেলা ইউনিট কমান্ডের পক্ষে সম্মাননা গ্রহণ করেন জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত চক্রবতী জুয়েল এবং মহানগর ইউনিট কমান্ডের পক্ষে সম্মাননা গ্রহণ করেনে মহানগর ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ভবতোষ রায় বর্মন রানা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট হাসাম মাহমুদ। শুরুতে অনুবাদসহ পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন সিলেট কালেক্টরেট মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা হাফেজ মো. শাহ আলম, গীতা পাঠ করেন সমাজপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বিবেকানন্দ। সভা শেষে জেলা ও মহানগর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ৪৫০জনকে সম্মানা পুরস্কার প্রদান করা হয়। পরে এক মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করা হয়।
জেলা শিল্পকলা একাডেমী : বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে সিলেট শিল্পকলা একাডেমীতে উদ্যাপিত হলো মহান বিজয় দিবস ২০১৪। দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্যাপনের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবং জেলা শিল্পকলা একাডেমীর ব্যবস্থাপনায় (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় একাডেমী মিলনায়তনে সুখী, সমৃদ্ধ, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বজনীন ব্যবহার শীর্ষক আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সিলেট জেলার উপপরিচালক ড. সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাসের সভাপতিত্বে এবং জেলা কালচারাল অফিসার অসিত বরণ দাশ গুপ্ত ও সহকারী কমিশনার ইশরাত জাহানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মোঃ শহিদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথির মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রওশনুজ্জামান সিদ্দিকী, সিলেট মহানগর ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ভবতোষ রায় বর্মণ, বাংলাদেশ টেলিভিশনের সিলেট প্রতিনিধি আজিজ আহমদ সেলিম এবং বাংলাদেশ ডেভলাপমেন্ট ব্যাংক-এর পরিচালক সৈয়দ এফতার উদ্দিন পিয়ার। সাংস্কৃতিক পর্বে একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতার; সূর্যোদয়ে তুমি সূর্যাস্তেও তুমি; সেদিন আর কত দূরে; ভয় কী মরণে এবং ঠিক যেখানে দিনের শুরু গান গুলোর সাথে সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে শিল্পকলা একাডেমীর নৃত্য বিভাগের প্রশিক্ষণার্থী ও নৃত্যশৈলী সিলেট-এর শিল্পীবৃন্দ, মুক্তির মন্দির সোপান তলে; দিকে দিকে দিখি দিখি লাল উত্তাল; সোনায় মোড়ানো বাংলা মোদের শ্মশান করেছে কে; বল বলরে বল সবে বলরে বাঙালির জয়; একাত্তরের মা জননী কোথায় তোমার মুক্তি সেনার দল শিরোনামের গানগুলো দলীয়ভাবে পরিবেশিত হয় একাডেমীর প্রশিক্ষণার্থী, গীতবিতান বাংলাদেশ ও ডিডিএফ ডিকেএফ দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশু বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কণ্ঠে। একক পরিবেশনার মধ্যে ছিল আমি বাংলার গান গায়; যে মাটির বুকে ঘুমিয়ে আছে এবং সুভাষ মুখোপাধ্যায় বিরচিত একটি কবিতা আবৃত্তি। সবশেষে একাডেমীর নাটক বিভাগের প্রশিক্ষণার্থীরা পরিবেশন করে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নাটিকা ঘরের শত্র“।
মদন মোহন কলেজ : মদন মোহন কলেজ ছাত্রদলের নেতা কর্মীরা শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। এ সময় শহীদ মিনারে মহান মুক্তিযুদ্ধে যাদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে এই স্বাধীন বাংলাদেশ, সেই সব শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানিয়েছে  মদন মোহন কলেজ ছাত্রদলের নেতা কর্মীরা শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কলেজ ছাত্রদলের নেতা মো: আবুল হোসেন আবুল, নজরুল ইসলাম, উমর ফারুক সোহাগ, জহিরুল ইসলাম আলাল, ইবনে জাহান তানভীর, আব্দুল মালেক আতিক, তারেক আহমদ, পারভেজ আহমদ, ফয়েজ আহমদ সনি, মকসুদুল করিম, দিবাকর দিপ দে, সান্ত দাশ, সুরাজ মজুমদার, সোহেল আহমদ, ইসলামুল হক সাদ্দি, বিক্রম চন্দ্র, ইসতিয়াক আহমদ নাঈম, ফজলে রাব্বি, অনিক তালুকদার, মাহমুদ আহমেদ, রায়হান আহমদ, সুগ¦ রায়, রিফাত হোসেন, তনু কর, এস এম জুবায়ের, আব্দুল মালেক আতিক, নজরুল ইসলাম, ওমর ফারুক সোহাগ, জহুরুল ইসলাম আলাল, এম পারভেজ আহমদ, ইবনে জাহান তানভীর, তারেক আহমদ, ফুজায়েল আহমদ, এতে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন হুসাইন আহমদ হাসান, ফয়ছল আহমদ, ফেরদৌস আহমদ, আব্দুল মালিক, রাসেল আহমদ, এনাম আহমদ, রিংকু চন্দ্র,অভি আহমদ, শাহীন আহমদ, এম টি মান্না, মকসুদুল করিম, ফজলেহ রাব্বি, ফয়জুর রহমান, কুতুব উদ্দিন, শিব্বীর আহমদ, কবির আহমদ, সাগর সেন, ফাহাদ আহমদ, তনু কর, জুয়েল আহমদ, গোলাম মোওলা টিপু, ইকবাল হোসেন, মারুফ আহমদ, রোমান তালুকদার, সাজউদ্দিন, সামাদ আজাদ, মাহিন আহমদ, খালেদ মনি, তোফায়েল আহমদ, রুহিত আহমদ, আব্দুল হামিদ, সাহেল আহমদ ও জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
পাঠানটুলা সমাজ কল্যাণ সংস্থা : মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে পাঠানটুলা সমাজ কল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে দিন ব্যাপি ক্রীড়া উৎসব ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। ক্রীড়া উৎসব শেষে বিজয়দের হাতে পুরস্কার বিতরণ সময় উপস্থিত ছিলেন পাঠানটুলা সমাজ কল্যাণ সংস্থার উপদেষ্টা এলাকার বিশিষ্ট মুরব্বী আব্দুল রাজ্জাক খান রাজা, সংস্থার উপদেষ্টা এলাকার মুরব্বী আব্দুল খালিক মিনাল, নরুল হক, ফারুক আহমদ দারা ,শাব্বির খান, শিরাজ খান, পাঠানটুলা সমাজ কল্যাণ সংস্থার সভাপতি আফছর খান, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আহমদ, হেলাল আহমদ, বিষুপদ ঘোষ, গোলাম হায়দার রুবেল, রাসেল আহমদ রুবেল আহমদ, সুজাদ আহমদ, হাসান খান, আজমল খান, রাসেদুর জাজ্জান, জাকির আহমদ ময়না, অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন কামরান খান, মাসুম সামাদ, সজিব খান, মেহেদি হাসান, জাকির খান, এনাম, নাজিম খান, রাসেল আহমদ ও সুমন আহমদ প্রমুখ।
হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটি : সিলেট সরকারী মহিলা কলেজের অধ্যাপক ড. নজরুল হক চৌধুরী বলেছেন, স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন। তাই আমাদের সকলকে বিজয়ের এই দিনে সুন্দর সমাজ গঠন ও সোনার বাংলাদেশ গড়ার শপথ নিতে হবে। মানবাধিকার কর্মীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রকৃত মানবাধিকারী হতে হবে। মানুষের অধিকার নিয়ে যারা কাজ করেন তারাই প্রকৃত মানবাধিকার। মানবাধিকার যাতে লংঘিত না হয় সেদিকে সকলকে সুদৃষ্টি রেখে কাজ করতে হবে। তিনি দেশকে অপরাধ মুক্ত করতে সকলকে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
গত ১৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাতে নগরীর একটি হোটেলে হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটি সিলেট মহানগরের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটির সিনিয়র সহ সভাপতি মাওলানা জাকারিয়া আহমেদ এর সভাপতিত্বে, সাংগঠনিক সম্পাদক আদনান তায়্যিব এর পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট ইমাম প্রশিক্ষণ একডেমীর সহকারী পরিচালক মাওলানা শাহ নজরুল ইসলাম, দৈনিক জালালাবাদ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আজিজুল হক মানিক, সিলেট ইন্সটিটিউট অব মেডিকেল এন্ড প্যারামেডিকেল টেকনোলজির অধ্যক্ষ ডা. মোঃ জহির বিন আকন্দ।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ-সভাপতি আফজাল হোসাইন, অর্থ সম্পাদক আব্দুর রহমান, আইন বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সালাম রনি, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম সায়েম প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মারুফ আহমেদ। কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন আমজাদ মাহমুদ মাসুম। অনুষ্ঠান শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা শাহ নজরুল ইসলাম।
স্টার লাইট একাডেমী : দৈনিক সিলেটের ডাক-এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক দেওয়ান তৌফিক মজিদ লায়েক বলেছেন, দেশাত্মবোধকে জাগ্রত করতে নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস বেশী করে জানতে হবে। দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে পাওয়া বাংলাদেশের অখণ্ডতা রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। সঠিক ইতিহাসকে জানার মাধ্যমে দেশের আত্মসামাজিক অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করতে হবে। আজকের শিশুরাই আগামীদিনের দেশ পরিচালনায় অগ্রণী ভূমিকা রাখবে উল্লেখ করে তিনি তাদেরকে মেধা ও মননে পারদর্শী করতে শিক্ষক অভিভাবক সবাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের আহবান জানান।
তিনি গত ১৬ ডিসেম্বর দক্ষিণ সুরমাস্থ স্টার একাডেমী আয়োজিত বিজয়ের দিবসের আলোচনা সভা ও বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন। একাডেমীর অধ্যক্ষ আনোয়ার আলীর সভাপতিত্বে সহকারী শিক্ষক আকবর হোসেন, ওয়াহিদুর রহমান তারেক ও আসমা বেগমের যৌথ পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নর্থইষ্ট মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা: চৌধুরী ফয়জুর রব জুবায়ের, একাডেমী পরিচালনা কমিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম বাবুল, স্টার লাইট কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল নজরুল ইসলাম। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সহকারী শিক্ষক আমীর হোসেন, নিজাম হোসেন, আউছাফুর রহমান খলিল, জাকির আহমদ চৌধুরী, রোকসানা বেগম, কামাল হোসেন, শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন তাহসিদ, সোহানা প্রমুখ।
বাসদ : মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে রাতের প্রথম প্রহরে আম্বরখানাস্থ দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল সহকারে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তপক অর্পণ করা হয়। পুষ্পস্তপক অর্পণের আগে দলীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাসদ সিলেট জেলা সমন্বয়ক কমরেড আবু জাফরের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন বাসদ নেতা জুবায়ের আহমদ চৌধুরী সুমন, নাজিকুল ইসলাম রানা, চয়ন কান্তি দাস, শ্রমিকফ্রন্ট নেতা মামুন ব্যাপারী, ছাত্রফ্রন্ট মহানগর সভাপতি পাপ্পু চন্দ, সহ-সভাপতি দেওয়ান নাজমুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক বদরুল আমিন, দপ্তর সম্পাদক বদরুল ইসলাম, আশিক মোস্তফা, তোফায়েল আহমদ প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, যে আকাঙ্কাকে কেন্দ্র করে দেশ স্বাধীন হয়েছিল স্বাধীনতা প্রায় ৪৩ বছরও তা বাস্তবায়ন হয়নি। ভয়-ভীতি, সন্ত্রাস, লুটপাট, হত্যা, গুম, দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি সাধারণ মানুষের জীবনকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ঢেলে দিচ্ছে। ধনী-গরীব বৈষম্য প্রকট হচ্ছে। বক্তারা, এ অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে শোষণ মুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
২৪নং ওয়ার্ড আ’লীগ : মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সিলেট মহানগর ২৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এদেশ বিজয় লাভ করে। এখন জননেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতি অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। সেজন্য ২৪নং ওয়ার্ডে রাজাকারের প্রেতাত্মাদের নির্মূল করে সেখানে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।
গত ১৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় নগরীর তেররতনস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে ওয়ার্ড আ’লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক এডভোকেট শামীম আহমদের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব রুহুল ইসলাম মিঠুর পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামীলীগ নেতা শেখ আব্দুস সালাম, শফিকুর রহমান, এনাম আহমদ, মোহাম্মদ রানা, কুনু মিয়া, আবুল খায়ের মাষ্টার, মোঃ লুৎফুর রহমান, মোঃ শাহজাহান, আব্দুল মতিন, আব্দুল আলিম, মোঃ রায়হান, মোতালেব মিয়া, আব্দুল বাতের, মোঃ মিজান ও সেবুল মিয়া প্রমুখ। অনুষ্ঠান শেষে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন আওয়ামীলীগ নেতা লুৎফুর রহমান।
বাংলাদেশের ওর্য়ার্কাস পার্টি সিলেট জেলা : বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সিলেট জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সিকান্দার আলী বলেছেন – লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে পাওয়া এ দেশের স্বাধীনতাকে সমুন্নত রাখতে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হবে। আর এজন্য মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে হবে। পঁচাত্তর এ জাতির জনককে হত্যার মাধ্যমে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দল বারবার মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস বিকৃত করতে চেয়েছে। তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরী করে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছে। এমনকি তারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী স্বাধীনতা বিরোধী পাকিস্তানের দোসর রাজকারদেরকে এই স্বাধীন বাংলাদেশে নাগরিকত্ব দিয়েছে, মন্ত্রী বানিয়েছে। স্বাধীনতাকামী এদেশের মেহনতি শ্রমজীবী মানুষ তাদেরকে তাই প্রত্যাখ্যান করেছে।
গত ১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি সিলেট জেলা কমিটি কর্তৃক আয়োজিত মহান বিজয় দিবসের  আলোচনা সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় বিকল্প সদস্য ও সিলেট জেলা কমিটির সভাপতি কমরেড আবুল হোসেন এর সভাপতিত্বে এবং পার্টির কেন্দ্রীয় বিকল্প সদস্য ও জেলা কমিটি’র সম্পাদক মন্ডলী’র সদস্য কমরেড ইন্দ্রানী সেন’র পরিচালানায় আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পার্টির সিলেট জেলা কমিটি’র সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কমরেড সিরাজ আহমেদ, পার্টির জেলা কমিটির সদস্য কমরেড দীনবন্ধু পাল, যুবমৈত্রী মহানগর কমিটির সভাপতি হিমাংশু মিত্র, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী আলফাজ, যুবমৈত্রী মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ আহমেদ, যুবমৈত্রী মহানগর কমিটির সহ সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ খোকন, বাংলাদেশ নারীমুক্ত সংসদ সিলেট জেলা কমিটি’র সহ-সভাপতি সাবিত্রী সেন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুন্নেছা জেবু, যুবমৈত্রী’র সাংগঠনিক সম্পদক আলমগীর হোসেইন ও ছাত্র মৈত্রী জেলা আহ্বায়ক স্বপন দাস প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে মাদক ও যৌতুক বিরোধী সাংস্কৃতিক সংগঠন চিরন্তন ও পার্টির শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়েজন করা হয়। উল্লেখ যে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে এ দিবস পালনের  সূচনা করা হয়।
দক্ষিণ সুরমা উপজেলা প্রশাসন : সিলেট-৩ আসনের এমপি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী বলেছেন, রক্ত ঝরিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করে একটি স্বাধীন ভূখন্ড প্রতিষ্ঠা বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন। তাই সবাইকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করতে হবে। তবেই একটি সুন্দর স্বনির্ভর, সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া সম্ভব। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বাঙালি জাতির স্বাধীনতার দিক নির্দেশনা ছিল। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে সরকার ব্যাপক পদক্ষেপ নিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে মহান বিজয় দিবসের চেতনায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ৭১’র পরাজিত শক্তিরা আজও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এদের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন মানুষের ৫টি মৌলিক অধিকার অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা, রাষ্ট্রী মর্যাদায় দাফন পরবর্তীতে ভাতা বৃদ্ধি সহ সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে। আওয়মী ছাড়া কোন সরকার এর ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। মুক্তিদ্ধের সঠিক ইতিহাস বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে।
এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী গত ১৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্রাবস্তী রায় এর সভাপতিত্বে ও উপ-প্রকৌশলী (জনস্বাস্থ্য) রতন লাল শাহ’র পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবু জাহিদ, ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ ইমাদ উদ্দিন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীম আরা পান্না, দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি খায়রুল ফজল, মোগলাবাজার থানার ওসি মোঃ শফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সাইফুল আলম, জেলা আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ্ব ময়নুল ইসলাম, উপজেলা যুগ্ম সম্পাদক রাজ্জাক হোসেন, দাউদপুর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম আলম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পুলিন চন্দ্র রায়, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গকুল চন্দ্র দেব নাথ, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাদশাহ মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা তাফাজ্জুল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবল চন্দ্র পাল, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কুটি মিয়া, আখলাছ মিয়া, মকবুল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলফাজ উদ্দিন, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা চন্দন দত্ত, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শফিক উদ্দিন আহমদ, জামিল সুলতান, মাহমুদা আক্তার প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন উপজেলা মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুল বাসিত সেলিম। এর আগে সকালে এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত বিজয় দিবসের কুচকাওজে সালাম গ্রহণ করেন।
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন : মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠান উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আনোয়ার হোসেন এর সভাপতিতে ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ.কে.এম ফজলুল হক এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট-৩ আসনের এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শহীদুর রহমান রুমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জাহানারা বেগম শ্যামা, ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ওসি নন্দন কান্তি দেবনাথ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শওকত আলী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাসিত টুটুল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল ইসলাম মানিক, এডভোকেট জসিম উদ্দিন, মাহমুদ উস সামাদ ফারজানা গার্লস হাইস্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ রবীন্দ্র কুমার দেবনাথ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আকরাম হোসেন, সাংবাদিক মামুনুর রশীদ, শিক্ষক শহীদুজ্জামান, জাতীয় পার্টির নেতা কামাল রাজা, উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মাশার উদ্দিন শাহ।
এর আগে এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত বিজয় দিবসের কুচকাওজে সালাম গ্রহণ করেন।
বালাগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন : মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বালাগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠান উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুর রহমান এর সভাপতিত্বে ও নয়ন তালুকদারের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট-৩ আসনের এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট-২ আসনের এমপি ইয়াহইয়া চৌধুরী এহিয়া, বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান আবদাল মিয়া, সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান মফুর, সাধারণ সম্পাদক আনহার মিয়া, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আজগর আলী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রেফা বেগম, বালাগঞ্জ থানার ওসি তরিকুল ইসলাম, বালাগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কামাল হোসেন প্রমুখ। পৃথক পৃথক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারে মধ্যে নগদ অর্থ ও কম্বল বিতরণ করেন প্রধান অতিথি।
মহানগর জামায়াত : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগর আমীর এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেছেন, ১৬ ডিসেম্বর লাখো শহীদের রক্তস্নাত বিজয়ের দিন। দীর্ঘ ৯ মাস পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর পাশবিকতা, বর্বরতার বিরুদ্ধে এ সবুজ ভূ-খন্ডের সর্বস্তরের মুক্তিকামী জনতার স্বতঃস্ফূর্ত ও অবিরাম লড়াইয়ের ফসল আজকের বাংলাদেশ। বিজয়ের ৪৩ বছরেও জাতি স্বাধীনতার সুফল হতে বঞ্চিত। আজ যারা রাষ্ট্রক্ষমতায় থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্রের কথা বলছেন তাদের কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে উল্টো পথে। পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর মতো তারা গণতন্ত্রকামী মানুষদের হত্যা-গুম করছে। তারা স্বাধীনতাকে নিজের সম্পত্তি মনে করে জাতিকে বিভ্রান্ত করছে। স্বাধীনতা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তির ধোয়া তুলে জাতিকে বিভক্ত করার ষড়যন্ত্র দেশবাসী সফল হতে দিবে না। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশ-জাতি ও ইসলামের কল্যানে রাজনীতি করে ইনসাফভিত্তিক সমাজ বিনির্মানের মাধ্যমে সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে কাজ করে যাচ্ছে। বিজয়ের চেতনায় উদ্ভুদ্ধ হয়ে দেশপ্রেমিক জনতাকে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
তিনি গতকাল মঙ্গলবার ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সিলেট মহানগর জামায়াত আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। মহানগর সহকারী সেক্রেটারী নুরুল ইসলাম বাবুল-এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর মো: ফখরুল ইসলাম, সেক্রেটারী মাওলানা সোহেল আহমদ, সহাকারী সেক্রেটারী এডভোকেট আব্দুর রব, জামায়াত নেতা এডভোকেট জিয়া উদ্দিন নাদের, আব্দুস শাকুর, মুফতী আলী হায়দার, মাওলানা আব্দুল মুকিত, মু. আনোয়ার আলী, ক্বারী আলাউদ্দিন ও শফিকুল আলম মফিক প্রমুখ।