বড়লেখায় বিয়ের প্রলোভনে তরুণীকে ধর্ষণ, ঘটনা ধামাচাপা দিতে প্রভাবশালীরা তৎপর

36

বড়লেখা থেকে সংবাদদাতা :
বড়লেখায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আশ্রিত বাড়িতে লম্পট অটোরিক্সা (সিএনজি) চালক রুহুল আমিন দরিদ্র এক তরুণীকে ধর্ষণ করেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে সম্ভ্রম হারানো নিরীহ তরুণীটি (১৮) থানায় অভিযোগ দিয়েছে। তবে প্রভাবশালী একটি মহল ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে তৎপর রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, উপজেলার কাঠালতলী টাকী গ্রামের নুর উদ্দিনের ছেলে অটোরিক্সা (সিএনজি) চালক রুহুল আমিন মাধবগুল গ্রামের ছায়েফ আহমদের মেয়ে সুমি বেগমের (১৮) সাথে বিয়ের প্রলোভনে প্রেম প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে তুলে। গত সোমবার রাতে দরিদ্র তরুণীর (১৮) বাবা-মায়ের অনুপস্থিতিতে ঘরে ঢুকে হত্যার হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। পরে বাবা-মা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডাক্তারী পরীক্ষা শেষে নির্যাতিতা লম্পট রুহুল আমিনকে আসামী করে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ধর্ষিতার দরিদ্র বাবা ছায়েফ আহমদ অভিযোগ করেন প্রভাবশালী একটি মহল ঘটনাটি ধাপাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি আরো জানান, লম্পট রুহুল আমিনের ইভটিজিংয়ে গত দুই বছর আগে অষ্টম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত অবস্থায় মেয়ের পড়াশুনা বন্ধ করেন। প্রায়ই সে মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতো।
বড়লেখা থানার ওসি মোহাম্মদ সহিদুর রহমান বুধবার বিকেলে জানান, ধর্ষক রুহুল আমিনকে গ্রেফতার করতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছে।