জাফলংয়ে গ্রেফতার আতংকে গ্রাম ছাড়া শতাধিক মিল মালিক, আটক ২

23

জৈন্তাপুর থেকে সংবাদদাতা :
জাফলংয়ে ষ্টোন ক্রাশার মেশিন উচ্ছেদ অভিযান প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিচালনা করার সময় জাফলং মিল মালিক ও শ্রমিকরা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম ফেরদৌস ইসলাম’র সাথে থাকা পুলিশ, বিজিব’র উপর হামলার ৪’শ জনকে আসামী করে গোয়াইনঘাট থানায় দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার আতংকে গ্রাম ছাড়া শতাধিক ক্রাশার মিল মালিক। ক্রাশার মিল বন্ধ থাকায় বেকার হয়ে পরছে লক্ষাধিক শ্রমিক।
মামলায় নিউ আবুল ষ্টোন ক্রাশার মেশিনের স্বত্ত্বাধিকারী আবুল হোসেনকে প্রধান আসামী করা হয়। ৩৫ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত আরো ৪’শ জনকে আসামী করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করতে এলাকায় পুলিশী টহল জোরদার রয়েছে। পাশাপাশি ঘটনাস্থল গুচ্ছগ্রাম ও আশপাশ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
গতকাল সোমবার সরেজমিন পরিদর্শনকালে দেখা যায় জাফলং এলাকার সকল ক্রাশার মেশিন বন্ধ রয়েছে। ক্রাশার মেশিন বন্ধ থাকায় লক্ষাধিক শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। পর্যটন নগরী জাফলংয়ে পাথরবাহী কোন ট্রাক পাথর পরিবহনের জন্য জাফলংয়ে দেখা যায়নি। স্থানীয় এলাকার পাথর ব্যবসার সাথে জড়িত ব্যবসায়ীরা ব্যপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। অপর দিকে ক্রাশার মেশিন মালিকরা মামলার আসামী হওয়ায় গ্রেফতার আতঙ্কে রয়েছেন। তাই ক্রাশার মেশিন ও আশ-পাশের এলাকায় কোন মালিক ও শ্রমিকদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি।
এ বিষয়ে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ, আব্দুল হাই জানান এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সঠিক তদন্তের মাধ্যেমে ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে হামলা ও গাড়ি ভাংচুরের ঘটনার মামলার প্রেক্ষিতে রবিবার গভীর রাতে থানা পুলিশের এস আই মোঃ ইউনুছ আলীর নেতৃত্বে উপজেলার মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহার ভুক্ত আসামি মোহাম্মদপুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুছ মিয়ার পুত্র বাবুল মিয়া (২৭) ও ছাতক উপজেলার মৃত তজম্মুল আলীর পুত্র মুহিবুল হক মুহিব মুল্লা (৪৫) কে আটক করে।