বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মৎস্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে জাল পুড়ানোর অভিযোগ

31

বিশ্বম্ভরপুর থেকে সংবাদদাতা :
জেলার বিশ্বম্ভলপুর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ও মৎস্য কর্মকর্তা ছমির উদ্দিনের বিরুদ্ধে ফতেপুর ইউনিয়নের ফুলভরী গ্রামের ফাদ্দুল মিয়ার বাড়ির ঘাটলা থেকে সোনাতলা কাইক্কার দাইড় বিল ব্যবহারকারী সংগঠনের মৎস্যজীবীদের দু’টি কোনা জাল ধরে নিয়ে এসে অবৈধভাবে ধরা ও পুড়ানোর অভিযোগে জেলা প্রশাসক সুনামগঞ্জ বরাবরে গতকাল ৮ ডিসেম্বর সোনাতলা কাইক্কার দাইড় বিল ব্যবহারকারী সংগঠন সম্পাদক জুয়েল বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে উল্লেখ করেন যে, তারা সরকারের হিলিপ- এলজিইডি প্রজেক্টের মাধ্যমে ১০ বছরের চুক্তি সাপেক্ষে নিয়মিত খাজনা আদায় করে বিধি মোতাবেক বিলে মাছ ধরার জন্য বিল ব্যবহারকারী সংগঠনের মৎস্যজীবীরা জাল তৈরি করে সোনাতলা কাইক্কার দাইড় বিলে মাছ ধরার কাজ করে আসছে। গত ০৭/১২/২০১৪ খ্রিঃ তারিখ তারা বিলে ব্যবহারের জন্য জাল দু’টি যার বাজার মূল্য প্রায় ১,২০,০০০, (এক লক্ষ বিশ হাজার) টাকা রবিবার ফাদ্দুল মিয়ার বাড়ির ঘাটলায় রেখে বিশ্বম্ভরপুর বাজারে হাটের কাজ (বাজার সদাই) করার জন্য আসেন। পরে বাড়ি থেকে মোবাইলে তারা খবর পায় যে, মৎস্য কর্মকর্তা, মোঃ ছমির উদ্দিন, ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার, খন্দকার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, বাড়ির ঘাটলায় নৌকার মধ্যে থাকা জাল দু’টি নিয়ে এসে বিশ্বম্ভরপুর বাজারের গাইন বাড়ি নামক স্থানে রাজার বান্ধে আগুন ধরিয়ে পুড়ে ফেলেন। যা বিধি মোতাবেক অন্যায় বটে বলে জানান অভিযোগকারী। তারা মৎস্যজীবী হিসেবে অভিযুক্ত দুই কর্মকর্তার বিচার ও তাদের ক্ষতিপূরণের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবরে অনুরোধ জানান। এছাড়া মৎস্য কর্মকর্তা তাদের কাছে কৌশলে ঘোষ দাবী করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে মোবাইল ফোনে আলাপকালে জানান তিনি ভিজা জাল ধরে নিয়ে এসে পুড়েছেন। মৎস্য কর্মকর্তার সাথে মোবাইল ফোনে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেন নি। জেলা প্রশাসক শেখ মোঃ রফিকুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে জানান তিনি বিষয়টি দেখবেন।