পিএসসি ও ইবতেদায়ী পরীক্ষা ॥ অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা উদ্বেগজনক ॥ পরীক্ষা ভীতি এর কারণ বললেন প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার

179

স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেটে প্রাথমিক সমাপনী (পিএসসি) ও ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের অনুপস্থিতি উদ্বেজনক। পরীক্ষা ভীতি এই অনুপস্থিতির কারণ বলে দাবি করছে প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। সিলেট বিভাগে প্রায় ২ লাখ ২০ হাজার ৫২৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৯৬২৭ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত। তার মধ্যে ছাত্র ৪৮৭৩ জন ও ছাত্রী ছিলো ৪৭৫৪জন । একইভাবে সিলেট জেলার মধ্যে ১৫১৭ জন ছাত্র ও ১৪৩৫ জন ছাত্রী অনুপস্থিত ছিলো।
সিলেট বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, সিলেট বিভাগে এ বছর পরীক্ষা কেন্দ্র রয়েছে ৫৭৮টি। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ১৯৫টি, সুনামগঞ্জ জেলায় ১৫২টি, মৌলভীবাজার জেলায় ১০২টি ও হবিগঞ্জ জেলায় ১২৯টি কেন্দ্র। এবার পরীক্ষার্থীর মধ্যে বাংলা ভার্সনে ২ লাখ ২ হাজার ১৪৫ জন এবং বাকিরা ইংরেজি ভার্সনে পরীক্ষা দেয়। গোয়াইনঘাট উপজেলার মোট ১৭টি কেন্দ্রে প্রাথমিক সমাপনীতে ৬ হাজার ১৪৭জন ও ইবতেদায়িতে ৩২৫ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করার কথা থাকলেও প্রথম দিনে প্রাথমিক সমাপনীতে ৪৮৫ জন ও ইবতেদায়ি সমাপনীতে অনুপস্থিত ছিল ৫২ জন শিক্ষার্থী।
জগন্নাথপুর উপজেলা থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ৪৫৮৮জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। তার মধ্যে ছাত্র ২০৪৬ ও ছাত্রী ২৫৪২ জন। তবে প্রথম দিন ২১০জন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। অপরদিকে, মাদ্রাসা পর্যায়ে ইবতেদায়ী পরীক্ষায় অংশ নেয় ৮৮০ জন। এর মধ্যে ৪৭২ ছাত্র আর ছাত্রী ৪০৮ জন। অংশ নেয়নি ৭৪ জন শিক্ষার্থী। উপজেলার ১৪টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
জকিগঞ্জে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় প্রথম দিনে ৩শ‘ ৫৯ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। জকিগঞ্জের বিভিন্ন স্কুল থেকে এবারের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় মোট ১৩টি কেন্দ্রে ৫ হাজার ৭০৪জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা থাকলেও প্রথম দিনে উপস্থিত ছিলেন ৫ হাজার ৪৪৫ জন। অনুপস্থিত ছিলেন ২৫৯ জন। এছাড়া ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ২টি কেন্দ্রে ৮৪২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা থাকলেও প্রথম দিনে উপস্থিত ছিলেন ৭৪২ জন। অনুপস্থিত ছিলেন ১শ’ জন।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জে পরীক্ষার্থী ছিল ৫ হাজার ১৬৯ জন। তবে প্রথম দিনেই অনুপস্থিত ৩৮৬ জন। দক্ষিণ সুনামগঞ্জের ডিকেসিআর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাতগাঁও জীবদাড়া উচ্চ বিদ্যালয়, শিমুলবাক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গণিনগর ষোল প্রাম জিএস উচ্চ বিদ্যালয়, টাইলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জেবিবি উচ্চ বিদ্যালয়, সলফ পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বীরগাঁও ইমদাদুল হক উচ্চ বিদ্যালয়, ডুংরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, নোয়াখালী সপ্তগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়, জয়কলস উজানীগাঁও রশিদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, হাজী আক্রম আলী দাখিল মাদ্রাসা, পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়, পঞ্চগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়, পূর্ব পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়, আব্দুর রশীদ উচ্চ বিদ্যালয় ও আমরিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা সেন্টারে মোট ৫ হাজার ১শ’ ৬৯ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেওয়ার কথা থাকলে ও প্রথম দিনেই অনুপস্থিত ৩শ’ ৮৬ জন।
বিশ্বম্ভরপুর (সুনামগঞ্জ) উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা ৮টি কেন্দ্রে ও এবতেদায়ী শিক্ষা সমপনী ১টি কেন্দ্রে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে উপজেলার ৮টি কেন্দ্রে মোট ৩০৭৩ জন পরীক্ষার্থীদের মধ্যে অংশগ্রহণ করে ২৯৬৮ জন। তার মধ্যে অনুপস্থিত ছিলো ১০৫ জন। এবতেদায়ী শিক্ষা সমপনী পরীক্ষায় ১টি কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২৬৮ জন। এরমধ্যে অংশ গ্রহণ করে ২১৫ জন, অনুপস্থিত রয়েছে ৫৩ জন।
সিলেট বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা উপ-পরিচালক তাহমিনা খানম বলেন, এই পরীক্ষাতে থিতু হতে সময় লাগবে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটা পরীক্ষাভীতি আছে। তাই অনুপস্থিত। এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।