বিস্ফোরক মামলায় ॥ বিয়ানীবাজারে ছাত্রলীগ নেতা পল্লবসহ ৩৭ নেতাকর্মী জেল হাজতে

30

Atok_679005805স্টাফ রিপোর্টার :
বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও ছাত্রলীগ নেতা পল্লবসহ ৩৭ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর হয়েছে। দুটি বিস্ফোরক মামলায় তারা গতকাল রবিবার আদালতে হাজিরা দিতে গেলে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতের বিচারক বেগম জেরিন সুলতানা জামিন নামঞ্জুর করে তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
আবুল কাশেম পল্লব ছাড়া অন্য যাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে-তারা হলেন- মাছুম আহমদ, অজিত আচার্য্য, বাবুল আহমদ, এমিল আহমদ, নাছির আহমদ, তোফায়েল আহমদ, গৌছ উদ্দিন, সাজন আহমদ, জাফর আহমদ, ছিদ্দিকুর রহমান, কাওছার আহমদ, ইমন উদ্দিন, এমদাদ আহমদ, মান্নান মিয়া, রাহেল আহমদ, কানন আহমদ, রাব্বী হোসেন, শামীম আহমদ, পুলক দাস, সাজু মিয়া, মিজান উদ্দিন, রিপন পদকর, হিমেল আহমদ, সুমন আহমদ, তারেক আহমদ, বদরুল ইসলাম, মঞ্জুর মিয়া, রমজান আলী, রেজা আহমদ, রাজন আহমদ, এমদাদ হোসেন, সুমন আহমদ জামাল, সাগর ও আলমাছ।
উল্লেখ্য, বিয়ানীবাজার পৌর এলাকায় গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে বিয়ানীবাজার জনতা মার্কেটের সম্মুখে ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আবুল কাশেম পল্লব ও সাবেক আহবায়ক জামাল গ্রেিপর মধ্যে সংঘর্ষে থানার ওসিসহ উভয় পক্ষের অন্তত: ১০ জন আহত হন। সংঘর্ষ চলাকালে ছাত্রলীগের জামাল গ্র“পকে লক্ষ্য করে পল্লব গ্র“প বেশ কয়েক রাউন্ড বন্দুকের গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ২৫ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে পল্লব গ্র“প ও জামাল গ্র“প একে অন্যের অফিসে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে। পরে শহরে দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এই ঘটনায় বিয়ানীবাজার থানার এসআই মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ৫৩ জনের নাম উল্লেখ ও আরো ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত রেখে দন্ডবিধির ১৪৭/১৪৮/৩৫৩/৩৩২/৩৩৩/৩৪ ধারাসহ ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইনের ৩ ধারায় মামলা দায়ের করেন। এছাড়া, ছাত্রলীগ নেতা জামালও আরেকটি মামলা দায়ের করেন। দুটি মামলার শুনানী রবিবার আদালত তাদের জামিন না-মঞ্জুর করেন। আদালতে আসামীদের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন এডভোকেট রেজাউল, টিপু ও কৃতী সুন্দর সহ ১৫/১৬ জন।