হাসিনাকে সহজে ফেরত পাঠাবে না ভারত

6

কাজির বাজার ডেস্ক

অন্তর্র্বর্তী সরকারের অনুরোধ সত্তে¡ও শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানো বাস্তবায়নে ভারতের সহযোগিতা না পাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ভ‚রাজনৈতিক জটিলতা ও দ্বিপক্ষীয় প্রত্যর্পণ চুক্তির কারণে বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত এই প্রধানমন্ত্রীকে হস্তান্তরে অনীহা প্রকাশ করেছে ভারত সরকার। শুক্রবার ভারতের দ্য ইকোনমিক টাইমস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে এখনো চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি দিল্লি সরকার। হাসিনাকে ফেরত চেয়ে অন্তর্র্বর্তী সরকারের আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব সূ² বিবেচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানাচ্ছে দেশটির প্রশাসন। এ প্রক্রিয়ায় কয়েক মাস সময় লাগতে পারে।
আওয়ামী লীগের শাসনামলে ভারতকে প্রাধান্য দেওয়ায় হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয়চ্যুত করতে চায় না দিল্লি বলে মত বিশ্লেষকদের। উ™‚¢ত জটিলতার পেছনে দ্বিপক্ষীয় প্রত্যর্পণ চুক্তিকে কারণ হিসেবে স্থাপন করছে ভারত।
নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাতে দ্য ইকোনমিক টাইমস বলছে, প্রত্যর্পণ প্রস্তাবে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের’ সুযোগ থাকলে অনুরোধ ফিরিয়ে দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে হাসিনার ফেরত আসা নিয়ে বাধা সৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। হাসিনাকে হস্তান্তর করলে ভারতসমর্থিত প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর দিল্লির প্রতি বৈরাগ্য দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন দেশটির প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।
তবে হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে অন্তর্র্বর্তী সরকারের প্রধান উপেদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিভিন্ন ক‚টনৈতিক পদক্ষেপ নিচ্ছেন। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের আগে আওয়ামী লীগ সরকার দ্বিপক্ষীয় চুক্তিগুলোতে ভারতের ইচ্ছাকেই বেশি প্রাধান্য দিয়েছে। অতীত বিবেচনায় হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া ভারত দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা করবে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।
ভারতের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দাবি, এ পরিস্থিতিতে দেশে ফিরলে হাসিনার বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা মামলা’ দায়ের করা হবে।
ভারতে হাসিনার রাজনৈতিক আশ্রয় এবারই প্রথম নয়। ১৯৭৫ সালে শেখ পরিবার হত্যাকাÐের পরও ভারতের আশ্রয়ে ছিলেন তিনি। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তনের আশায় থাকা আওয়ামী লীগ কর্মীদের ভরসা দেওয়ার ক্ষেত্রে ভারতে হাসিনার অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ।