নগরীতে শীতের সবজির দাম কমায় জনমনে স্বস্তি

3

স্টাফ রিপোর্টার

নগরীর বাজারগুলোতে কয়েকসপ্তাহ ধরে শীতকালীন সবজিসহ আলু ও পেঁয়াজের দাম ছিল লাগামহীন। কিন্তু চলতি সপ্তাহে সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় সব ধরনের সবজির কেজি প্রতি দাম কমেছে ২০-৩০ টাকা। ৭৫ টাকার আলু পাওয়া যাচ্ছে ৫৫-৬০ টাকায়। আর মানভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম কমেছে ২০-৫০ টাকা। এতে স্বস্তি ফিরেছে মানুষের। শুক্রবার নগরীর বন্দরবাজার, ব্রক্ষময়ীবাজার, আম্বরখানা, মাদিনা মার্কেট ও দক্ষিণ সুরমা রেলগেইটের বাজার সরেজমিন ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
বাজারগুলোতে ৬০ টাকার বাঁধা কপি ও ফুল কপি ৪০ টাকা, ৫০ টাকার মুলা ৩০, ৬০ টাকার গোয়ালগাদ্দা সিম ৪০, ৫০ টাকার পেঁপে ৪০, ১০০ টাকার ঝিঙা-ধুন্দল-চিচিঙ্গা ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৬০, ৫০ থেকে ৬০ টাকার কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা, ৮০ টাকার লাউ প্রতি পিচ ৪০ থেকে ৫০, বরবটির দাম কমে হয়েছে ৪০ থেকে ৫০টাকা, একশত টাকার দেশী টমেটো প্রতি কেজি এখন ৫০ থেকে ৭০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া শসা গত সপ্তাহের চেয়ে ১০ টাকা কমে ৫০, গাজর ৭০, ৬০ টাকার লম্বা বেগুন ৫০, ৮০ টাকার গোল বেগুন ৬০, মিষ্টি কুমড়া আকারভেদে ৪০ থেকে ৭০ টাকা এবং লাল শাক, সবুজ শাক, কলমি শাক প্রতি আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১৫ ও পালং শাক ৩০ টাকা করে, ৪০ টাকার পুইশাকের আঁটি ৩০ টাকা। তবে পাইকারি ও খুচরা বাজারভেদে দামের পার্থক্য রয়েছে।
বন্দরবাজারে বাজার করতে আসা সেলিম মিয়া বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় শাক-সবজির দাম অনেক কমেছে। এমন থাকলে সবার জন্য ভালো। দামদর ছাড়াই সবজি কেনা যায়। এছাড়া স্থানীয় কিছু সবজি বাজারে আসায় সবজির দাম অনেকটা কম।
সবজির পাশাপাশি কমেছে আলু, পেঁয়াজ ও রসুনের দামও। গত সপ্তাহের ৭৫ টাকার আলু কেজিতে ১৫-২০ টাকা কমে ৫৫-৬০ বিক্রি হচ্ছে। ১২০ টাকার দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজিতে মানভেদে ৫০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ৮০ টাকার ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা দরে। ২২০ টাকার ইন্ডিয়ান রসুন ১০ টাকা কমে ২১০, ২৬০ টাকার দেশি রসুন ৪০ টাকা কমে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা। এ ছাড়া চায়না আদা প্রতি কেজি ২০০ ও ক্যারোলা আদা ১২০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
ব্রক্ষময়ী কাঁচা বাজারের নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা বস্তা ধরে কিনি, তাই কিছুটা কমে দিতে পারি। কিন্তু যারা পাল্লা হিসেবে নিয়ে আসে তারা ৫ থেকে ১০ টাকা প্রতি কেজিতে বেশি বিক্রি করেন।
চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের মতো নতুন আটাশ ৬০, পুরান আটাশ ৬৫, মিনিকেট কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ৮০, পাইজাম ৬০, কাটারিভোগ ৮৫ টাকা, বাসমতী ৯৪-৯৮, পোলাও চাল ১২০ ও আমন ৭০ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে।
আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে ভোজ্যতেল। বোতলজাত ৫ লিটারের সয়াবিন ৮৫০ এবং ১ লিটার ১৭৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া খোলা পামওয়েল প্রতি লিটার ১৬০ ও কেজিতে ১৭৫ টাকা।
এ ছাড়া কেজিতে ২০ টাকা করে বেড়েছে সোনালি মুরগি। গত সপ্তাহের ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকার মুরগি চলতি সপ্তাহে ৩৫০ টাকা কেউ কেউ ৩৪০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। অপরিবর্তিত ২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। এ দিকে পাড়া-মহল্লার বাজারে ৫০ টাকা হালি ফার্মের ডিম ৪৫ থেকে ৪৮ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।