ছাতক প্রতিনিধি
ছাতকে দরিদ্রের গভীর নলক‚প ধনীদের ঘরে ঘরে স্থাপন করে দিয়ে ফায়দা নিয়েছেন দলীয় নেতা-কর্মী ও দালালরা। এসব সরকারি নলক‚প আত্বীয়ের বাসা বাড়ীতে স্থাপন ও ৫০-৬০ হাজার টাকা করে কর্মী নামের দালালদের মাধ্যমে বিত্রিæ করেছেন নেতা-কমীরা। ২০২২-২৩-২৪ সালে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী ও সহকারী প্রকৌশলীরা সরকার দলীয় নেতা-কর্মীদের কাছে জিন্মি ছিলেন বলে জানাগেছে। নিয়ম-নীতির কথা বলার অপরাধে এক সহকারী প্রকৌশলীকে বদলীও করা হয়েছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীরা এখন বলছে আবেদনের পর যাচাই বাচাই শেষে তালিকাভুক্ত করার পর সিদ্ধান্ত করা হবে।
উপজেলা জুড়ে সরকারি নলক‚প বরাদ্দের নামে চলছিল ব্যাপক অনিয়ম ও হরিলুট। সরকারি নীতিমালা না মেনে সরকার দলীয় এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যানরা তাদের প্যাড দিয়ে গভীর নলক‚প বরাদ্দ দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আত্বীয়করনে সচ্ছল ব্যক্তি, দলীয় নেতাকর্মী, প্রবাসীদের বাসা-বাড়ীতে গভীর নলকুপ স্থাপন ও কর্মী নামক দালালদের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নলকুপ বিক্রিও করা হয়েছে। সাবেক জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী ও ঠিকাদারের যৌথ হরিলুটে ইচ্ছা মতো স্থাপন করেছে নলক‚প গুলো। ফলে অধিকাংশ নলক‚পে পানি পাওয়া যাচ্ছে না। শীতকালে বিভিন্ন এলাকায় সুপেয় পানির জন্য এখন হাহাকার ও দুর্ভোগ চলছে। জনপ্রতিনিধিদের পছন্দের এবং অর্থের বিনিময়ের ও দলীয় নেতাকর্মীদের সুপারিশে এসব নলক‚প বরাদ্দ দেয়া হয়েছিলো।
সরকারি নীতিমালায় রয়েছে অন্তত ১০টি পরিবারের নিরাপদ পানি সরবরাহের আওতায় আনার লক্ষ্য নিয়ে এসব নলকুপ স্থাপন করতে হবে। এনিয়মের উল্টো হয়েছে ছাতক উপজেলায়। দরিদ্রের গভীর নলক‚প ধনীদের ঘরে স্থাপন করা হয়েছে। একাধিক ব্যক্তি জানান, আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে আবেদন ছাড়াই উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অফিস থেকে সরকারি নলক‚প বরাদ্দ হতো। এমপি, উপজেলার চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যানদের কাছে গিয়ে নগদ ৫০-৬০হাজার দিলে ও উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অফিস গভীর নলক‚পগুলো দিয়েছেন। তাদের দলীয় কর্মী নামের দালালরা ৭০-৮০ হাজার টাকায় এসব নলকুপ আবদ্ধ জায়গায় অথবা ঘরে বা উঠানে স্থাপন করে দিয়েছে বিভিন্ন এলাকায়।
সরকারি নীতিমালায় বলা আছে অবহেলিত ও সুবিধাবঞ্চিত এলাকার বসবাসকারী এবং আর্থিক ও সামাজিকভাবে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে নলক‚প স্থাপনে অগ্রাধিকার দেয়ার লক্ষে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মিজানুর রহমান ও উপজেলা নিবাহী কর্মকতা মো: তরিকুল ইসলাম এসব নিয়ে কাজ শুরু করছেন। আবেদনের পর যাচাই বাচাই শেষে তালিকার কাজ হবে। এখন সরকারি ফিস জমা দিয়ে সরকারি নলক‚প বরাদ্ধ পাবেন গরীবরা। এব্যাপারে সাবেক এমপি মুহিবুর রহমান মানিক, সাবেক উপজেলার চেয়ারম্যান ফজলুর রহমানের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে সংযোগ পাওয়া যায়নি।