ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় সর্বপ্রথম আইনজীবীরা লড়াই করেন : মেয়র আনোয়ারুজ্জামান

0

 

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সাথে মতবিনিময় করেছেন সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দ। নবনির্বাচিত সভাপতি অ্যাডভোকেট অশোক পুরকায়স্তের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম ইয়াহিয়া চৌধুরী সুহেলের সঞ্চালনায় মঙ্গলবার দুপুর ২টায় সিসিক সভা কক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় আইনজীবী পরিষদের পক্ষ থেকে একটি ভবন নির্মাণের দাবি ও বিভিন্ন সমস্যা কথা মেয়রের কাছে তুলে ধরেন। ভবন নির্মাণ ও সব ধরনের সহযোগিতা প্রদানের আশ^াস দিয়ে সভায় সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন- ‘আইনজীবীরা দেশের বিচক্ষণ নাগরিক। তারা আইনী সেবা প্রদানের মতো একটি পবিত্র দায়িত্ব পালন করছেন। ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বপ্রথমই যারা লড়াই করেন তারা হলে আইনজীবী।’ তাদের প্রতি আমি অত্যন্ত আন্তরিক। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে আইনজীবীদের সর্বাত্ম সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
এসময় নবনির্বাচিত সিলেট জেলা আইনজীবী পরিষদের সহ সভাপতি ১ – অ্যাডভোকেট মো: জালাল উদ্দীন, সহ সভাপতি ২ – অ্যাডভোকেট মো: নুরুল আমিন, যুগ্ম সম্পাদক ১ – অ্যাডভোকেট সালেহ আহমদ হিরা, যুগ্ম সম্পাদক ২- অ্যাডভোকেট মাসুম আহমদ, সমাজ বিষয়ক সম্পাদক – এড সাইফুর রহমান খন্দকার রানা, সহ সমাজ বিষয়ক সম্পাদক – অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ কাদির আহমদ, লাইব্রেরি সম্পাদক – অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান সজল, সহকারী নির্বাচন কমিশনার – অ্যাডভোকেট জামিল আহমদ, সহ সম্পাদক – অ্যাডভোকেট ওয়াজি উদ্দিন তারিক, সহ সম্পাদক – অ্যাডভোকেট বদরুল আলম শিপন, কার্য নির্বাহী সদস্য – অ্যাডভোকেট মো : আব্দুল মালিক, সদস্য – অ্যাডভোকেট মো: রাজ উদ্দিন, সদস্য – অ্যাডভোকেট মো: আখতার হোসেন খান, সদস্য – অ্যাডভোকেট মো: আব্দুল ওদুদ, সদস্য – অ্যাডভোকেট মো গিয়াস উদ্দিন, সদস্য – অ্যাডভোকেট মো: ওবায়দুর রহমান, সদস্য – অ্যাডভোকেট মো: আনোয়ার হোসেন, সদস্য : অ্যাডভোকেট সন্ধ্যা লক্ষী দেসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। -বিজ্ঞপ্তি
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেলের আইসিইউ-তে রাখা হয়। পরে স্থানান্তর করা হয় কেবিনে। মোট ৫ দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে মঙ্গলবার দুপুরে তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়া হয় এবং বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বাসায় ফিরেন তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এসএমপি’র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন- আহত ৬ জনের মধ্যে এএসআই রেজাউল করিম ও গাড়িচালক নায়েক হাবিবুর রহমান এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে, ঘটনার পরের দুই দিনে বাসের চালকসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ও র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-৯। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর থানার পৈরতলা গ্রামের বাসিন্দা বাসচালক বাবুল চন্দ্র দেব (৪৯), বাসটির সুপারভাইজার কুমিল্লার জয়নাল মিয়া (৪০) ও সহকারী কুমিল্লার বুড়িচং থানার রামপুর গ্রামের এরশাদ হোসেন (৪২)।
দুর্ঘটনার দিনই পুলিশের পক্ষ থেকে এ ৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা পরে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।