আপনারা আমাকে সুযোগ দিন -ড. মোমেন

18

স্টাফ রিপোর্টার

‘বিগত ১৫ বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এজন্য বাংলাদেশ অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে, দেশের উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। এই শান্তি, স্থিতিশীলতা ও গণতন্ত্রকে ধরে রাখতে হবে। আমরা বিএনপির সন্ত্রাসী কার্যক্রম দেখতে চাইনা, আমরা আমাদের সন্তানের মৃত্যু দেখতে চাইনা। এজন্য শেখ হাসিনার সরকার বারবার দরকার।
বুধবার বিকেলে সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রথম নির্বাচনী জনসভায় দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে সিলেট-১ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এ কথা বলেন।
ড. মোমেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহেনাকে অভিবাদন জানিয়ে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সিলেটবাসীর প্রতি খুবই আন্তরিক। তিনি সিলেটের উন্নয়নে সবসময় নজর রাখেন। প্রধানমন্ত্রীর কারণে গত ৫০ বছরে প্রথমবারের মতো সুরমা-কুশিয়ারা নদীতে খনন কাজ শুরু হয়েছে। আগামীতে সিলেটে শহর রক্ষা বাঁধ তৈরি করা হবে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে। সিলেটে রেলওয়ের উন্নয়ন প্রকল্প ইতিমধ্যে অনুমোদন দিয়েছে তিনি। ইনশাল্লাহ সরকার গঠনের পরপরই আখাউড়া-সিলেট রেললাইনের কাজটিও শুরু হবে।
জনসভায় উপস্থিত মহিলা-বোনদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যখন ক্ষমতায় আসেন তখন মহিলা শ্রমিকের সংখ্যা ছিল মাত্র ৬ শতাংশ। গত কয়েক বছরে এটা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬ শতাংশে। শুধু এটা নয়- নারীর ক্ষমতায়নের ফলে এখন নারীরা জজ, সচিব, রাষ্ট্রদূত, সেনাবাহিনী-পুলিশ ও অন্যান্য শীর্ষপদে আসীন হচ্ছেন। আগে বিভিন্ন সার্টিফিকেট-কাগজাদিতে আমাদের শুধু পিতার নামই লেখা হত। প্রধানমন্ত্রী পিতার নামের সাথে মাতার নাম অর্ন্তভুক্ত করে নারী জাতিকে সম্মান জানিয়েছেন।
ড. মোমেন বলেন, পাঁচ বছর আগে আমার বড়ভাই (আবুল মাল আব্দুল মুহিত) এখানে উপস্থিত ছিলেন। তাঁকে শেখ হাসিনা সুযোগ দিয়েছিলেন আর আপনারা ভোট দিয়েছেন বলে তিনি জনগণের জন্য সৎ ও নিষ্ঠাবান হয়ে কাজ করেছ্নে। আমিও আমার বড়ভাইয়ের মতো কাজ করতে চাই।
তিনি আগামী ৭ নির্বাচন দলে দলে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিয়ে দুষ্টু লোকদের উচিত শিক্ষা দেবার আহবান জানান।
আগামীতে নির্বাচিত হলে সিলেটের ব্যাপক উন্নয়ন হবে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-১ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেন, আপনারা আমাকে আবারও সুযোগ দিন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-৬০১ এর একটি ফ্লাইটে বেলা ১১টা ৩৩ মিনিটে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। বিমানবন্দরে তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
জনসভায় প্রধান অতিথির বক্ত্যবে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ গ্যাস আমেরিকা বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছিলো আমাকে। কিন্তু আমি এতে রাজি হইনি। আমি বলেছি- আমার দেশের জনগণের কল্যাণে এগুলো ব্যবহার করবো। ৫০ বছরের গ্যাস মজুত রেখে অবশিষ্ট থাকলে বিক্রি করবো। কিন্তু জনগণ যাদেরকে জনগণকে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করেছিলেন- সেই বিএনপি আমেরিকাকে গ্যাস বিক্রয়ের মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলো।
তিনি আরও বলেন, আল্লাহ জন বুঝে ধন দেন। বিএনপি ক্ষমতায় থাকালে যেসব স্থানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে গ্যাস পায়নি, আওয়ামী লীগের আমলে সেসব স্থানেই গ্যাসের সঙ্গে তেলও পাওয়া গেছে। বিএনপির আমলে মিললে এসব তারা লুটেপুটে খেতো।