শান্তিগঞ্জে ইউএনও’র উপস্থিতিতে ১২০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি

18

শান্তিগঞ্জ সংবাদদাতা

ছাতকের পাগলা বাজারের একটি মুদির দোকানের সামনে পেঁয়াজ কিনতে আসা ক্রেতাদের দীর্ঘ সারি। সেখানে সোমবার সকাল ১১টায় শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাগলা বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভ‚মি) ছকিনা আক্তার। এ সময় অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ বিক্রির অপরাধে শাস্তিস্বরূপ মেসার্স দোলন স্টোরের ৪শ কেজি পেঁয়াজ ১শ ২০ টাকা দরে নিজে উপস্থিত থেকে বিক্রি করান ছকিনা আক্তার। খবরটি বাজারব্যাপী ছড়িয়ে পড়লে কমমূল্যে পেঁয়াজ কিনতে এভাবেই সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ান ক্রেতারা।
বৃহস্পতিবার ৭ ডিসেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করে ভারত সরকার। এরপর থেকেই ১শ টাকার পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে ১শ ৮০ থেকে ২শ টাকায় বিক্রি শুরু করেন শান্তিগঞ্জের বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে শনিবারে শান্তিগঞ্জে বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ে ২০০ টাকা। এই খবরে পাগলা বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভ‚মি) ছকিনা আক্তার। এসময় কোনো দোকানদারকে অর্থ জরিমানা না করলেও মেসার্স দোলন স্টোর ও মেসার্স নিশি স্টোর থেকে মোট ৪শ ১০ কেজি পেঁয়াজ ১শ ২০ টাকায় বিক্রি করান তিনি। দোলন স্টোরে ৪শ ও নিশি স্টোরে ১০ কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করা হয়।
এ সময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন- পাগলা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন মির্জা, সহ-সভাপতি আতর আলী, সদস্য তুয়েল আহমদ, নাছির আলী ও গণমাধ্যমকর্মী জামিউল ইসলাম তুরান উপস্থিত ছিলেন।
মিলন মিয়া ও লিটন মিয়া নামের দু’জন ক্রেতা জানান, রবিবারও পাগলা বাজারে ১শ ৮০ থেকে ২শ টাকায় প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। সোমবার মোবাইল কোর্ট এসে তারা দাঁড়িয়ে থেকে ১শ ২০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। দুই কেজি করে দু’জনে ৪ কেজি কিনেছি।
শান্তিগঞ্জ উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভ‚মি) ছকিনা আক্তার বলেন, ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছেন। দোলন স্টোরের মালিক পেঁয়াজ গোপনের চেষ্টা করেছেন। আমরা খুঁজে বের করে ১শ ২০ টাকা দরে বিক্রি করিয়েছি। সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে পেঁয়াজ কিনেছেন। পুলিশ ও গ্রাম পুলিশ সহযোগিতা করেছেন। আমি বাজারের সকল ব্যবসায়ীদের বলেছি, ১শ ৩০ টাকার বেশি পেঁয়াজ বিক্রি করলে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে। আমাদের নিজস্ব লোক ছদ্মবেশে বাজারে পেঁয়াজের দাম মনিটরিং করবে।