দোয়ারাবাজারে ৩ কিলোমিটার কাঁচা সড়কে জনদুর্ভোগ ৬ গ্রামবাসীর

18

শাহ্ মাশুক নাঈম, দোয়ারাবাজার
৩ কিলোমিটার কাঁচা সড়কে চরম জনদুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সুনামগঞ্জ দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের শিমুলতলা, তালতলা, কাওয়াঘর, রাজনগর, ইসলামপুর, সুন্দরপই-সহ ৬ গ্রামের মানুষ। দেশ উন্নয়নের জোয়ারে ভাসলেও গত ১৫ বছরে উন্নয়নের একটু মাত্র ছোঁয়াও লাগেনি যে সড়কে। তাই ভোগান্তির মাঝে জীবন কাটাচ্ছেন হাজারও মানুষ।
সরেজমিন দেখা যায়, মহব্বতপুর বাজার ব্রীজের প্র্বূপার থেকে দক্ষিণ দিকে যে সড়কটি প্রবেশ করেছে এটি ৬ গ্রামের একটি প্রধান সড়ক। প্রতি বছর সমান্য কিছু জায়গায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজ করা হলেও, এবছর এক মুষ্টি মাটিও দেয়া হয়নি এ সড়কে। সড়কটি যানবাহন চলাচলের জন্য একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কের দুই পাশে স্থানীয়দের বসতির জন্য সড়কটি সরু হয়ে যাচ্ছে দিনদিন। মোটরসাইকেল ছাড়া সে সড়ক দিয়ে কোন যানবাহন যেতে চায় না। সমান্য বৃষ্টি হলে সড়কের গর্তে হাঁটু পানি জমে থাকে। তখন পায়ে হেঁটেও চলা কষ্টকর। যাতায়াতের অসুবিধায় ছাত্র-ছাত্রী স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসায় যেতে নানা ধরণের অসুবিধা হচ্ছে। তাই ভুক্তভোগীদের আর্তনাদ শোনার কেউ নাই।
স্থানীয়রা জানান, এ ৩ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে এক ইঞ্চি ও পাকা সড়ক নাই। প্রতিদিন পায়ে হেটে শিক্ষার্থীরা সমুজআলী কলেজ, টিলাগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিক ও মাদরাসায় যেতে হচ্ছে নানান সমস্যা।
কলেজ শিক্ষার্থী শাহ্ তারেক মাহমুদ কাজির বাজারকে জানন, বারমাসই আমাদের চরম দুর্ভোগে পোহাতে হয়। এমন অবহেলিত এলাকায় বসবাস করি, দেশ উন্নয়নের জোয়ারে ভাসলেও আমরা একটু মাত্র ছোঁয়াও পাইনী। বর্ষাকালে হালকা বৃষ্টি হলে সড়কে বড়-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। তখন রাস্তা এতটাই পিচ্ছিল হয়ে পড়ে, যে পা ফেলতেও ভয় হয়। শুকনো মৌসুমে দিনের বেলায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কিছু বড় যানবাহন চলাচল করলেও রাতে কোনো যানবাহন চলাচল করে না।
শিমুলতলা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান কাজির বাজারকে জানান, একজন শহীদ দুইজন বীর মুক্তিযোদ্ধার গ্রাম শিমুলতলা। দেশ স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছিলাম। কিন্তু লজ্জার কথা হলো ৩ কিলোমিটার সড়ক পায়ে হেটে স্হানীয় বাজারে যেতে হয়। মনে হয় এলাকার পরিবর্তন দেখে মরতে পারবো না।
সুরমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারন-অর-রশিদ কাজির বাজারকে বলেন, এ সড়কের কাজের জন্য সকল কাগজাদী উর্ধতন কর্মকর্তাদের অফিসে পাঠানো হয়েছে।
কয়েকদিনের ভেতরে এ সড়কের কাজ শুরু হবে।
দোয়ারাবাজার এলজিইডি’র প্রকৌশলী আবদুল হামিদ কাজির বাজারকে বলেন, এই প্রথম এ সড়কের কথা জানতে পারলাম। সময় করে একবার সড়কটি পরিবর্তন করবো।