বাংলাদেশের অর্জন নিয়ে সারারাত গল্প শোনাতে পারবো – পরিকল্পনামন্ত্রী

21

শাদমান শাবাব শাবি থেকে :
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, বিদ্যুতকে আমরা এখন অতি সাধারণ একটি বিষয় মনে করি। এটা বিশাল ব্যাপার। বিদ্যুতের যে কি গুরুত্ব এই দেশে ছিলো, ৫০-৬০ বছর আগে যারা ছিলেন তারা বলতে পারবেন। সবচেয়ে বড় ক্লিয়ারিং এচিভমেন্ট আমরা করেছি গত কয়েক বছরে। আমরা সকল ঘরে বাতি পৌঁছে দিয়েছি। এটা দরকার ছিলো।
শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে ‘৫০ বছরে বাংলাদেশের অর্জন, ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক গবেষণা সম্মেলনের শেষদিন সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন৷
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্জন নিয়ে আপনাদের সারারাত গল্প শোনাতে পারবো। কারণ, আমি বাংলাদেশের অন্য অংশও দেখেছি৷ ছোটবেলায় আমি যখন গ্রামে বড় হয়েছি, আমার গ্রামে আমার মা-বাবা, আমার শিক্ষক তাদের আগের যে সমাজ ছিলো ওটা আমি দেখেছি। পাকিস্তানের সমাজটা আমি দেখেছি৷ পাকিস্তান থেকে ঢাকায় এসে যখন বসবাস করতাম, তখন ঢাকার মোটামুটি উঠতি সমাজের যে জীবনধারা ছিলো তা দেখেছি।
পরিকল্পনামন্ত্রী শেখ হাসিনার চাকরি করেন না উল্লেখ করে বলেন, আমরা দশ-পনেরো বছর বিভ্রান্তির পরে একটা ট্র‌্যাকে আসছি বলে মনে করি। এটা আমি শেখ হাসিনাকে খুশি করার জন্য বলছি না৷ আমি উনার চাকরি করি না। আমি উনার ক্যাবিনেট কলিক। আমি দল করি, উনি আমাকে সঙ্গে নিয়েছেন। উনাকে খুশি করতে হবে না। উনি আমার ক্যাপ্টেন, বড় ক্যাপ্টেন। আমি তাঁর কথা মানি। তিনি আরও বলেন, ‘এই মুহূর্তে দরকার আমাদের গুছিয়ে চলা।’ তাছাড়াও দেশের উন্নয়নে যতগুলো চ্যালেঞ্জ আছে তার মধ্যে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক রূপান্তর বলে মন্ত্রী মনে করেন৷
এসময় সভাপতির বক্তব্যে শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, সিলেট পর্যটকদের প্রথম পছন্দ। এখানকার রাস্তাঘাট চমৎকার। কিন্তু পর্যটন এলাকায় পর্যটকদের যথেষ্ট স্যানিটেশন ব্যবস্থা নেই এবং নিরাপত্তা কম। তিনি মন্ত্রীকে এবিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান।
এছাড়াও সমাপনী অনুষ্ঠানে সম্মেলনের সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. জায়েদা শারমিন সংক্ষেপে বিষয়বস্তু তুলে ধরেন। এছাড়াও সিলেটের নর্থ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইলিয়াস উদ্দিন বিশ্বাস বিশেষ অতিথি এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক দিলারা রহমান সমাপনী বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পলিটিক্যাল স্টাডিস বিভাগের অধ্যাপক ড. জহিরুল হক শাকিল এবং বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. ফারজানা সিদ্দিকী রনি।
প্রথমবারের মতো সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ কর্তৃক আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ, আমেরিকা, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, তুর্কি, ভারত, মঙ্গোলীয়া ও ডেনমার্কসহ ৮টি দেশের গবেষকেরা ৯৭টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনে দেশ বিদেশের প্রায় ৭ শতাধিক শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকবৃন্দ অংশ করেন।