৩ টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব যারা পেলেন

27

 

কাজির বাজার ডেস্ক

তিন টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগ কার্যকর হওয়ার পর তাদের শূন্য পদে দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন বুধবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, তিনটি মন্ত্রণালয় খালি হয়েছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর পদটি শূন্য হয়েছিল, সেখান পূর্ণমন্ত্রী থাকায় কাউকে নতুন করে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে না। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চলে যাবে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব চলে যাবে এখন যিনি তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকের কাছে। এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হবে। উপদেষ্টাদের দায়িত্ব কাউকে বণ্টন করা হচ্ছে না বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
নির্বাচনের আগে মন্ত্রিসভার বৈঠক আর হবে কিনা প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এখন সরকার স্বাভাবিক চলবে। আমাদের কাছে যদি বিবেচ্য বিষয় থাকে, সেটার জন্য মন্ত্রিসভার বৈঠক চাইব। এর আগে বুধবার সকালে মন্ত্রিসভার টেকনোক্র্যাট তিন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র গ্রহণ ও কার্যকর হয়। একই সঙ্গে তিন উপদেষ্টার পদত্যাগপত্রও গ্রহণ করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই মন্ত্রীরা বুধবার থেকে আর অফিস করছেন না।
নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার পর ১৯ নভেম্বর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম পদত্যাগপত্র জমা দেন। একই সঙ্গে সেদিন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলেন।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেন, পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন। বুধবার থেকেই তা কার্যকর।
এর আগে, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন জানিয়েছিলেন, টেকনোক্র্যাট তিন মন্ত্রী ও উপদেষ্টাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। যতক্ষণ না পদত্যাগপত্র গৃহীত হচ্ছে ততক্ষণ তারা কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করা হয়েছে। তপশিল অনুযায়ী, প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর রিটার্নিং কর্মকর্তারা তা বাছাই করবেন ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি রোববার।