নির্বাচনী এলাকা থেকে সরাতে হবে সব ধরনের প্রচার সামগ্রী

4

কাজির বাজার ডেস্ক

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসির ঘোষণা অনুযায়ী, ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি। এর আগে সংসদীয় আসনে আগ্রহী প্রার্থীরা যেসব পোস্টার, ব্যানার, দেওয়াল লিখন ও বিলবোর্ড স্থাপন করেছেন তা অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব আতিয়ুর রহমান স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় এ কথা বলা হয়েছে। নির্দেশনায় জানানো হয়, ৭ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ১৫ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে সময়সূচি ঘোষণা করা হয়েছে (সময়সূচির প্রজ্ঞাপন: পরিশিষ্ট-‘ক’)। সম্ভাব্য প্রার্থীদের পোস্টার, ব্যানার, দেওয়াল লিখন, বিলবোর্ড, গেইট, তোরণ বা ঘের, প্যান্ডেল ও আলোকসজ্জা ইত্যাদি প্রচারসামগ্রী ও নির্বাচনী ক্যাম্প থাকলে সেগুলো অপসারণ করার জন্য মাননীয় নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন। এ লক্ষ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীদের উক্তরূপ নির্বাচনী প্রচারণার সামগ্রী থাকলে তা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিজ খরচে অপসারণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মাননীয় নির্বাচন কমিশন নির্দেশ প্রদান করেছেন। এ লক্ষ্যে সিটি করপোরেশন, পৌরসভাসহ বিভিন্ন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহকে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য নির্দেশনা প্রদান প্রয়োজন।
বর্ণিতাবস্থায়, নির্ধারিত সময়ে উপর্যুক্ত প্রচারণা সামগ্রীসমূহ অপসারণ সংক্রান্ত কার্যক্রম বাস্তবায়নে সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভাসহ বিভিন্ন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহকে নির্দেশ প্রদানের জন্য আদিষ্ট হয়ে অনুরোধ করা হলো।
পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন প্রবাসীরা : বাংলাদেশি ভোটার বিদেশে বসবাস করলেও পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। সম্প্রতি ইসির উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমানের স্বাক্ষরিত একটি পরিপত্র জারি হয়েছে এ নিয়ে।
ইসি জানায়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ২৭ অনুচ্ছেদে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিদের পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোটাধিকার প্রয়োগের বিধান রয়েছে।
পোস্টাল ব্যালটে ভোটদানের জন্য আবেদন: ভোটদানের জন্য প্রবাসী ব্যক্তি কমিশনের ঘোষিত সময়সূচির প্রজ্ঞাপন ঘোষণার দিন থেকে ১৫ দিনের মধ্যে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোটদানের জন্য রিটার্নিং অফিসারের নিকট বিধি অনুসারে আবেদন করতে পারবেন। বিধান অনুযায়ী পোস্টাল ব্যালটে ভোট প্রদান সংক্রান্ত রিটার্নিং অফিসার স্থানীয়ভাবে প্রচার করবেন। বিদেশে অবস্থিত দূতাবাস, হাইকমিশন ও মিশনসমূহ থেকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের লক্ষ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পদ্ধতিগতভাবে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
আবেদনপত্র প্রাপ্তির পর করণীয়: রিটার্নিং অফিসার উল্লিখিত আবেদন প্রাপ্তির পর পরই সংশ্লিষ্ট ভোটারের নিকট একটি পোস্টাল ব্যালট পেপার এবং তার সঙ্গে একটি খাম পাঠাবেন। এই খামের ওপর ভোটার থেকে যথারীতি পূরণকৃত খামটি ডাক বিভাগের উপযুক্ত কর্মকর্তার দ্বারা সার্টিফিকেট অব পোস্টিংয়ের মাধ্যমে ডাকযোগে প্রেরণের প্রত্যয়নসহ তারিখ উল্লেখ থাকবে। সার্টিফিকেট অব পোস্টিংয়ের মাধ্যমে পোস্টাল ব্যালট পেপার গ্রহণ এবং চিঠির ওপর এ সম্পর্কে রাবার স্ট্যাম্পের সিল ব্যবহার করতে হবে। রিটার্নিং অফিসার সঙ্গে সঙ্গে ডাকযোগে ভোটদানের যোগ্য ব্যক্তিদের নিকট পোস্টাল ব্যালট পেপার প্রেরণ করবেন।
পোস্টাল ব্যালটে ভোটের নিয়ম: যার নিকট ব্যালট পেপার প্রেরণ করা হবে তার নাম, সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার নাম এবং ভোটার তালিকায় বর্ণিত ক্রমিক নম্বর ইস্যুকৃত ব্যালট পেপারের মুড়িপত্রে লিপিবদ্ধ করবেন। ) উল্লিখিত ভোটার সংশ্লিষ্ট ভোটকেন্দ্রে যাতে ভোট প্রদান করতে পারেন তা নিশ্চিত করবেন। ডাকযোগে ব্যালট পেপার প্রেরণ ও প্রাপ্তির নিশ্চয়তা বিধানের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্তৃপক্ষকে বিশেষ নির্দেশনা প্রদান করতে হবে।