জলাবদ্ধতা নিরসনে পাম্প ও সুইচ গেইট স্থাপনের পরিকল্পনা সিসিকের

2

স্টাফ রিপোর্টার

অল্প বৃষ্টিতেই সিলেট মহানগরীর প্রায় সর্বত্র জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। তলিয়ে যায় নগরীর গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাঘাট। বাসা বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে জনমানসে। শত শত কোটি টাকা ব্যয় করেও জলাবদ্ধতা থেকে কেন মুক্তি মিলছে না, প্রশ্ন সবার। সর্বশেষ শনিবার বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়েছে মহানগরীর। তবে সিটি করপোরেশন বলছে মূলত জলবায়ূ পরিবর্তনের কারণে অল্প সময়ে বেশি বৃষ্টি ও মহানগরীর অনেক জায়গায় নিচু হওয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে পাম্প ও সুইচ গেইট স্থাপন করা হবে বলে জানায় সিসিক।
শনিবারের বৃষ্টিতে নগরীর নগরের উপশহর, মির্জাজাঙ্গাল, তালতলা, কাজলশাহ, শেখঘাট, বনকলাপাড়া, কালীঘাট, পীরমহল্লা, সেনপাড়া, আদিত্যপাড়া, কেওয়াপাড়া, পায়রা, দরগাগেট, চৌহাট্টা, মেজরটিলা প্যারাগন আবাসিক এলাকাসহ নগরীর অসংখ্য এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। কোন কোন জায়গায় গোড়ালি থেকে হাঁটুসমান পানি জমে। সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বর ও নিচতলায় পানি জমায় রোগী, তাঁদের স্বজন ও হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
সড়ক উপচে পানি ঢুকে পড়ে মানুষের বাসা-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। যার ফলে নগরবাসী পড়েন চরম ভোগান্তিতে। সিটি করপোরেশনের জলাবদ্ধতা নিরসনে শত শত কোটি টাকা ব্যয় করেও তেমন সুফল মিলছে না। জলাবদ্ধতার কারণে দোকানপাটে পানি ঢুকে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। নষ্ট হচ্ছে বসত বাসাবাড়ি আসবাবপত্র।
নগরবাসীর অভিযোগ- জলাবদ্ধতার পেছনে শুধু ভারী বৃষ্টিই দায়ী নয়, এর পেছনে সিটি করপোরেশনের কর্তাদেরও দায় আছে। কোটি কোটি টাকা খরচ করার পরও নগরীতে যখন জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়, তখন সংশ্লষ্ট কাজে গাফিলতি আছে। এছাড়া ছড়া-খাল, নালা-নর্দমা নিয়মমাফিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না করাও জলাবদ্ধতার অন্যতম একটি কারণ।
সিলেট সিটি করপোরেশনের গৃহিত প্রকল্পের নথি অনুযায়ী ২০১৩ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সময়ে জলাবদ্ধতা নিরসন সংশ্লিষ্ট দুইটি প্রকল্পে ৩১৩ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এছাড়াও জলাবদ্ধতা নিরসন ও অবকাঠামো উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট একটি ১ হাজার ২২৮ কোটি টাকার প্রকল্প চলমান আছে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান জানান, জলবায়ূ পরিবর্তনের কারণে অল্প সময়ে বেশি বৃষ্টি হচ্ছে। যার ফলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে আবার বৃষ্টি থেমে গেলে সেসব পানি নেমে যাচ্ছে। মহানগরীর নিচু এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে পাম্প ও সুইচ গেইট স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। নগরবাসীকে ভোগান্তি থেকে রেহাই দিতে আমরা কাজ করছি।